
অসময় বয়সের বিয়ে? এই প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে সে সকল জুটিকে যাঁরা সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে বেরিয়ে জীবনটাকে যাপন করার স্বপ্ন দেখেছেন। হয়েছেন প্রশ্নের মুখোমুখি, কটাক্ষ থেকে মিম কিছুই যেন তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। যদিও ‘নির্দিষ্ট বয়স’ পেড়িয়ে বিয়ে যেন এখন ট্রেন্ড। আর সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুরু করলেন নতুন জীবন। সেই প্রসঙ্গেই TV9 বাংলা যোগাযোগ করে শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। সম্প্রতিতে তাঁর বিয়ে ঝড় তুলেছিল সর্বত্র। আজ এই ধরনের সম্পর্ক যখন চারপাশে গড়ে উঠতে দেখেন, মানুষ-‘লোকে কী বলবে’-এর বাইরে বেরিয়ে নিজের ভাল থাকাকে গুরুত্ব দেন, তা দেখে বেজায় খুশি হন নায়িকা।
বিয়ের খবর শুনে শ্রীময়ী বললেন, “সত্যি কথা, কাঞ্চন একজন অভিনেতা। অভিনেতাদের ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় ছাড় থাকে। একজন রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে এটা কঠিন বিষয়। অনেক বেশি ট্রোল্ড, মিম সমস্ত ঘটতে থাকে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি আমার সিদ্ধান্তে স্থির ছিলাম। আমরা কোনও ভুল করছি না। যা করেছি ভাল করেছি। ৫০ কেন, ৬০-এও বিয়ে করতে পারেন। আগেও উদাহরণ দিয়েছি, মানুষ ৮৫-তেও বিয়ে করেছেন। তাঁরা নামী-দামি গুণী মানুষ। তাঁর মনে হয়েছে, এটা সঠিক সময়, ভাল করে কারও সঙ্গে জীবনটাকে যাপন করবেন, সেটা তাঁদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। একজন রাজনীতিবিদ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হতে পারেন, বিরোধী পক্ষ হতে পারেন…, দিলীপ ঘোষের বিয়ের সময় আমি একই কথা বলেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাগত জীবন কখনও এক হতে পারে না। আমরা একটা পেশার সঙ্গে যুক্ত বলে এটা নয়, যে মনে-মনে ভয় নিয়ে চলতে হয়। আমরা যদি ভাল না থাকি, পাঁচটা মানুষকে ভাল রাখতে পারব না। তাহলে তো অকালে জীবনটাই চলে যাবে।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে বয়সটা বিষয় না। আমার মনে হয়েছিল সময় মানুষকে উত্তর দেবে। এখন সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে অনেকেই এই সাহসিকতাটা দেখাচ্ছেন। নতুন জীবনের জন্যে অনেক শুভেচ্ছা। প্রতিটা মানুষের বাঁচার অধিকার আছে। ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেন, তাই আমাদের ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই। যাঁরা বিচার করেন, তাঁরা মানসিক অশান্তিতে রয়েছেন। তাঁরা মনে করেছেন, একে অপরের সঙ্গে থাকবেন, তাঁরা থাকছেন। এর ওপর আর কিছুই হতে পারে না। আরেকটা বিষয় আমি খুব বিশ্বাস করি, রূপ-যৌবন অস্থায়ী। সারা জীবন থেকে যাবে কাঁধে মাথা রাখাটা আর বিশ্বাসের হাতটা। আর কেউ তো কোনও খারাপ কাজ করছেন না। দু’জন মানুষ সমাজকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছেন। এটা নিয়ে আমাদের কথা বলার কী আছে? আমার কাছে এটা খুব আনন্দের খবর।”