চিড়িয়াখানায় সৃজিত- আয়রার ‘ডে-আউট’, শেয়ার করলেন ছবি
আয়রাকে কাছে পেয়ে যেন নিজের ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছেন সৃজিত।
শীতের ছুটি। চিড়িয়াখানায় বাবা-মেয়ে। এ তো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেই বাবা-মেয়ে যখন সৃজিত (Srijit Mukherji) এবং আয়রা তখন তা তো শিরোনামে থাকবেই। আয়রাকে নিয়ে শীতের চিড়িয়াখানা ঘুরে এলেন সৃজিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ‘ডে-আউট’-এর ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
সৃজিত লিখেছেন, ‘আমার জীবনের প্রথম ১২টা শীত কলকাতা চিড়িয়াখানা যাওয়া ছাড়া অসম্পূর্ণ ছিল। বাবার সঙ্গে যেতাম। বাবাও আমার মতোই উত্তেজিত থাকত। চিড়িয়াখানা নিয়ে নানা রকম গল্প বলত বাবা। বিভিন্ন তথ্যও দিত। কিছুই বদলায়নি। কেউ দূরে চলে যায় না। আসলে সবই ফিরে আসে। ফিরে আসে অন্য কোনও ভাবে।’
আরও পড়ুন, সপরিবারে কোন অনুষ্ঠান সেলিব্রেট করলেন কনীনিকা?
কখনও ফ্রেমে মাস্ক আর সানগ্লাস পরা আয়রা। কখনও বা বাবা-মেয়ের সেলফির ফ্রেমে রয়েছে চিতাবাঘও। আবার কখনও হাতির শুঁড়ের মতো ভঙ্গি করে ছবি তুলেছেন তাঁরা। সৃজিত এবং আয়রার সম্পর্কটা আসলে সহজ বন্ধুত্বের। আয়রার বয়সের মতো করে তাঁর সঙ্গে মেশার চেষ্টা করেন তিনি। আয়রাও তাই সৃজিতকে ঠিক বন্ধু ভাবে।
View this post on Instagram
আসলে আয়রাকে কাছে পেয়ে যেন নিজের ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছেন সৃজিত। বাবার সঙ্গে ছোটবেলায় কাটানো মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নিতে চান মেয়ের সঙ্গেও। তাই আয়রাকে নিয়ে কখনও পার্কস্ট্রিটে চলে যান। ঠিক যেমন নিজের পাঁচ বছর বয়সে যেতেন বাবার সঙ্গে। আবার কখনও বা চিড়িয়াখানায় গিয়ে তাঁর মনে পড়ে যায় ফেলে আসা দিনের কথা। মনে পড়ে যায় বাবার শোনানো গল্প। এখন যা উত্তরাধিকার সূত্রে আয়রার প্রাপ্য।
আরও পড়ুন, ‘হারানো সুর’-এ রণজয়ের ক্লাসিক্যাল এবং কন্টোম্পোরারি মিউজিকের মেলবন্ধন
সৃজিত-আয়রার এ হেন সম্পর্ক উপভোগ করেন মিথিলা। তিনি বহুবার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর মনে হয় সৃজিতও নাকি আয়রার মতোই ছোট। সে ভাবেই ট্রিট করেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে এই সখ্য উপভোগ করেন সৃজিতের অনুরাগীরাও। চিড়িয়াখানার ছবি দেখেও কমেন্টে প্রশংসা সূচক মন্তব্যই করেছেন তাঁরা।