
বিতর্কের কেন্দ্রে অক্ষয় কুমারের ছবি ‘কেশরী চাপ্টার ২’। গত এপ্রিলে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এখন ওটিটিতে স্ট্রিমিং হচ্ছে।বিধাননগর দক্ষিণের সেক্টর ৪-এর নবপল্লির বাসিন্দা রণজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, জিও হটস্টারে প্রচারিত ‘কেশরী চ্যাপ্টার – ২’ ছবিতে মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলার একটি আদালত কক্ষের দৃশ্যে বাংলার বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু এবং বারীন্দ্র কুমার ঘোষকে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ এবং অমৃতসরের ‘বীরেন্দ্র কুমার’ হিসেবে উল্লেখ করে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, এই ধরনের ভুল উপস্থাপনা ক্ষুদিরাম বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করে, ভুল তথ্য প্রচার করে এবং ভাষাগত ও আঞ্চলিক বিভেদের বীজ বপনের ঝুঁকি তৈরি করে।
টলিপাড়ার নামী ব্যক্তিত্বরা বিষয়টা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী লিখলেন, ”শুনলাম “ছাপরি চ্যাপ্টার গু” বলে একটা হিন্দি সিনেমায় নাকি ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। অবশ্য হিন্দি সিনেমার থেকে ইতিহাস শেখা উচিত নয়। ওরা কিন্তু যে কোনও দিন ছাপ মারা বিশ্বাসঘাতককে বীর বলে চালিয়ে দেবে। পুনশ্চ- এক বন্ধু জানালেন সিনেমার নামটা ভুল বলছি। আসল নাম “যুবা কেসরী- ফুঃ”।
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টুইট, ”ক্ষুদিরাম সিং? এরপর কী? মোহনদাস করমচাঁদ মুখার্জি? জওহরলাল দস্তিদার? লালা লাজপত লাহা? করুণ গবেষণা!” এই লেখার সঙ্গে ছবির দৃশ্য পোস্ট করেছেন পরিচালক। বাংলা জুড়ে দাবি উঠেছে অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতে হবে, এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য। এখন ওটিটি-তে ছবির প্রদর্শনে কোনও বাধা আসবে কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষা।