এবার নতুন ভূমিকায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়! অনুরাগীদের জন্য কোন চমক?

২০১০ সালে বাংলা ছবিতে পা রেখেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। 'অটোগ্রাফ' যখন তৈরি করেছিলেন সৃজিত, অনুপম রায়ের সঙ্গে পরিচালকের যুগলবন্দি কেমন হতে পারে, তা টের পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। এই ছবি শুধু সৃজিত-প্রসেনজিত্‍ (সুপারস্টার প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়) জুটির জন্ম দেয়নি, বরং প্রথম ছবি থেকেই সৃজিত-অনুপম জুটি একইভাবে চর্চিত। ক্রমশ ছবিতে গান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন সৃজিত।

এবার নতুন ভূমিকায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়! অনুরাগীদের জন্য কোন চমক?

| Edited By: Bhaswati Ghosh

Nov 11, 2025 | 9:45 AM

২০১০ সালে বাংলা ছবিতে পা রেখেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ‘অটোগ্রাফ’ যখন তৈরি করেছিলেন সৃজিত, অনুপম রায়ের সঙ্গে পরিচালকের যুগলবন্দি কেমন হতে পারে, তা টের পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। এই ছবি শুধু সৃজিত-প্রসেনজিত্‍ (সুপারস্টার প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়) জুটির জন্ম দেয়নি, বরং প্রথম ছবি থেকেই সৃজিত-অনুপম জুটি একইভাবে চর্চিত। ক্রমশ ছবিতে গান নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন সৃজিত। তাঁর ছবির সঙ্গীত পরিচালক বদলেছে বহুবার। কখনও নামী সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সঙ্গে কাজ করেছেন সৃজিত, কখনও কিংবদন্তি কবীর সুমন তাঁর আশ্রয় হয়েছেন, আবার কখনও সপ্তক সানাই দাস, রণজয় ভট্টাচার্য বা তমালিকা গোলদারের মতো একেবারে নতুন সঙ্গীত পরিচালকের গানের তরতাজাভাবের সঙ্গে নিজের ছবির চিত্রনাট্য মিশিয়ে দিয়েছেন পরিচালক।

খবর হলো, এবার পুরোদমে সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করবেন সৃজিত। পরিচালক সুমন ঘোষ একটা নতুন বাংলা ছবি তৈরি করছেন। সেই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন সৃজিত। আগামী বছর পরিচালক নিজে ‘এম্পারার ভার্সেস শরত্‍চন্দ্র’ তৈরি করছেন। যে ছবিতে আবীর চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী, সোহিনী সরকারের মতো নামী তারকাদের কাজ করার কথা। সেই ছবিতে সৃজিত থাকছেন সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে।

লক্ষণীয় সৃজিতের ছবির হাত ধরে গায়ক হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। গত ১৫ বছরে সৃজিতের বিভিন্ন ছবির সূত্রে সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক-গায়িকাদের ঝুলিতে বহু সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার এসেছে। সৃজিত বরাবরই গান তৈরির বিষয়টার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে থাকেন, তেমনই তাঁর কলমের কিছু গান অনুরাগীদের ভীষণই প্রিয়।

কেন প্রত্যক্ষভাবে ছবির জন্য গান তৈরির তাগিদ অনুভব করলেন? TV9 বাংলাকে সৃজিত জানালেন, ”গানের ব্যাপারে আগ্রহ বরাবরের। প্রস্তাব আসার কারণেই বিষয়টায় আরও উত্‍সাহ পেলাম। এখন টলিউডে সঙ্গীত পরিচালকরা, ছবি পরিচালনা করছেন। নায়ক-নায়িকারা ছবিতে প্লে-ব্যাক করছেন। তাই মনে হলো, যেহেতু গান আমার প্যাশন, তাই পেশাদার সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।” ২০২৫-এ ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ বা ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবির গান জনপ্রিয় হয়েছে। বড়দিনে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির গান যে নজর কাড়বে, সেই প্রত্যাশা রয়েছে। তার মধ্যে এমন খবরে পরিচালকের অনুরাগীরা কতটা খুশি হবেন, সেটা দেখার অপেক্ষা।