আমি তো একজন স্বতন্ত্র মানুষ, উনি তো কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী হয়ে বাঁচেন: শ্রীময়ী চট্টরাজ

তোমার সঙ্গে আমার কোনও তো শক্রতা নেই। আমি যে তিনবার তোমার সঙ্গে কথা বলেছি বা দেখা করেছি সেখানে আমি তোমার সঙ্গে কোনও অসভ্যতা করিনি।

আমি তো একজন স্বতন্ত্র মানুষ, উনি তো কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী হয়ে বাঁচেন: শ্রীময়ী চট্টরাজ
কাঞ্চন, পিঙ্কি, শ্রীময়ী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2021 | 9:55 PM

উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। নানা মহলে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জোর জল্পনা চললেও এতদিন কাঞ্চন, শ্রীময়ী এমনকি কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কির মুখ থেকেও টুঁ শব্দটি শোনা যায়নি। কিন্তু গত এক সপ্তাহে এই সম্পর্কের জল গড়িয়েছে অনেকদূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই সামনে আসছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের ছবি। ১৯ জুন রাতে কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী ওরফে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় নিউ আলিপুর থানায় কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টোরাজের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

TV9 বাংলা শ্রীময়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে যা-যা বললেন, তা তুলে ধরা হল শ্রীময়ীর জবানিতে…

গতকাল আমার কাছে  বেশ কিছু খবর আসে এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারি পিঙ্কিদি আমার নামে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। বলেছেন আমরা নাকি মায়াপুর গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি মায়াপুরে গিয়েছিলাম শো করতে। আমি শো করে এসে পিঙ্কিদিকে দেখাই। তখনই পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা দুই পরিবার মিলে কোথাও ঘুরতে যেতে পারি। কিন্তু এখন আমার সব কথাগুলোই অন্যভাবে বলা হচ্ছে। তাই গতকাল আমি ফোন করি পিঙ্কিদিকে। কিন্তু উনি ফোনটা কেটে দেন। তখন আমি পিঙ্কিদিকে একটি ভয়েস রেকর্ডিং পাঠাই। বলি, দেখো তোমার সঙ্গে আমার আলাপ কীভাবে তুমি তো জানো। আর তোমার সঙ্গে তো আমার খারাপ সম্পর্ক নয়।

তোমাদের ব্যক্তিগত জীবনে আমার হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই। তুমি একবার আমার সঙ্গে দেখা করো। যথারীতি আমি যাই দেখা করতে। সঙ্গে অবশ্যই কাঞ্চনদা ছিল। কারণ পিঙ্কিদি কোথায় আছে কাঞ্চনদাই জানে। তার আগে কাঞ্চনদাকে মনে হয় হুমকি দেয় পিঙ্কিদি দেখা করবে না বলে। কিন্তু আমি বলি তোমার সঙ্গে হয়তো দেখা করতে চাইছে না ওঁর মাথা গরম, আমার সঙ্গে তো করুক। তাহলে দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে। যখন ওখানে যাই, দেখি উনি ছেলেকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন। সঙ্গে পিঙ্কিদির দাদাও ছিলেন। যদিও আমি ওঁনাকে চিনতাম না। আমাদের দেখে রীতিমতো ছুটছিলেন। তখন কাঞ্চনদা ওদের পিছনে যায়। তারপর আমি পিছু নিই। বলি পিঙ্কিদি দু’মিনিট। একটু দাঁড়াও। তোমার সঙ্গে কথা আছে। তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো একটু। দেখো আমার একটা পরিবার পরিজন আছে। কিন্তু উনি রাস্তার মধ্যে এমনভাবে চিৎকার করছেন এবং ওঁনার দাদা রীতিমতো আমার উপর চড়াও হন। আমি জানি না এটা কেন করল?

আরও পড়ুন :শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ পিঙ্কি, ‘…হারাতে চাই না’, ভেঙে পড়লেন কান্নায়

আমি এইরকম ব্যবহার কোনও দিন দেখিনি। কাঞ্চনদার উপরও চিৎকার করেন। তখন কাঞ্চনদা সরে আসে। আমাদের সঙ্গে আরও একজন ছিল। সে আমাকে সরিয়ে আনে। চিৎকার-চেঁচামেচি করে পিঙ্কিদি রীতিমতো কাঁপতে থাকে। ‘আমি কথা বলব না’ বলে ভয়ঙ্কর চিৎকার করে লোকজন পর্যন্ত জড়ো হয়ে যায়। উনি তো কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী  হিসাবে বাঁচেন। কিন্তু আমি একজন স্বতন্ত্র মানুষ। আমারও এতদিনে একটা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। আমি অনেক ছোট। উনি এতদিন কাটিয়ে এসেছেন। ওনার কাছে এতগুলো ফোন যাচ্ছে শুধুমাত্র উনি কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী হিসাবে। কিন্তু আমার তো কোনও খুঁটির জোর নেই। আমার লড়াইটা আমাকে একাই লড়তে হবে।

আমি বারবার বলি আমি যদি তোমার সঙ্গে কোনও অন্যায় করে থাকি তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো। কেন কথা বলছ না আমার সঙ্গে বারবার বলি। তোমার সঙ্গে আমার কোনও তো শক্রতা নেই। আমি যে তিনবার তোমার সঙ্গে কথা বলেছি বা দেখা করেছি সেখানে আমি তোমার সঙ্গে কোনও অসভ্যতা করিনি। পিঙ্কিদির এই অগ্নিমূর্তি কাঞ্চনদা বলেন আমি ভাবিনি আমি এই রকম পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হবো যে আমার মান-সম্মান কাটা যাবে। তবে আমি গাড়ির সামনে প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম শুধুমাত্র কথা বলার জন্য। এর আগেও আমি ওঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, ভিডিয়ো কলে কথা বলেছি ওঁদের ছেলের সঙ্গে। কিন্তু তখন তো এমন কোনও স্টেটমেন্ট দেননি। তাহলে হঠাৎ আজ কেন? কী এমন ঘটল? তবে উনি যদি এই ঘটনার ভিত্তিতে কোনও এফআইআর করে থাকেন তার সত্যি যাচাই করা হবে। আমি এই ঘটনায় সত্যিই হতাশ। তবে আমি আবারও বলব আমার সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।