শুভশ্রীর (Subhashree Ganguly) পরনে হালকা হলুদ কামিজ। সাদা সালোয়ার, সাদা ওড়না। রাজের (Raj Chakraborty) পরনে নীল রঙা শার্ট, ওই একই রঙের জিনস। দু’জনের গালেই আবিরের ছোঁয়া। আবিরে রেঙে ওঠার পর শুভশ্রীকে আদরে ভরিয়ে দিলেন রাজ। সেই ছবি সোশ্যাল ওয়ালে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নায়িকা।
দোলের দিনে দম্পতির একান্ত কিছু মুহূর্ত। অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানাতে সেই ছবিই বেছে নিয়েছেন শুভশ্রী। তিনি লিখলেন, ‘রাজ তোমাকে মিস করছিলাম। আমাদের তরফ থেকে দোলের শুভেচ্ছা।’
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হওয়ার আগে হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। জোরকদমে প্রচার চলছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের এখন সময়ের অভাব। এই বছরে পুরোদস্তুর রাজনীতিতে জড়িয়ে গিয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। প্রত্যেক দিন বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচার, কর্মীসভা নিয়ে ব্যস্ত। ফলে পরিবারে তেমন সময় দিতে পারছেন না। দোলের দিন প্রচারও করলেন। আবার তার থেকে একটু ছুটি পেয়েই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেন।
দিন কয়েক আগে ব্যারাকপুরে প্রচার সভায় দাঁড়িয়ে রাজ বলেন, “ছোটবেলা থেকে আমার আইডল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে হত, যদি কোনওদিন বড় হই, ওঁর মতো করে লড়াই করে বড় হব। আমি ছোট থেকে দেখেছি, সিপিএম কাউকে ভোট দিতে দিত না। সে কারণে সিপিএমকে পছন্দ করতাম না। দিদি আমাদের অভিভাবকের মতো। ২০১১ থেকেই ওঁর সঙ্গে ছিলাম। তবে রাজনীতির ময়দানে সরাসরি আসব, কখনও ভাবিনি।”
আরও পড়ুন, গান, নাচে জমে গেল অপরাজিতার দোলের সেলিব্রেশন
২০২১-এ হঠাৎ কী এমন হল, যাতে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ? তাঁর কথায়, “এমন একটা সময় এল, যখন কাছের মানুষরা দিদিকে ছেড়ে গেল। তখন মনে হল, দিদি যাদের আগলে রেখেছে, বিপদে আপদে পাশে থেকেছে, এই সময় যদি পাশে না থাকি, সেটা ঠিক নয়।”
হালিশহরে বড় হওয়া রাজ দাবি করেছেন, ব্যারাকপুর তাঁর চেনা জায়গা। তাঁর আবেদন, “আমাকে কী করতে হবে, আমাদের কী করতে হবে, আপনারা বলুন। খেলা দেখিয়ে দেব আমরা।”