
বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের মধ্যগগনে জ্বলজ্বল করেছিলেন এই দুই ব্যক্তি–মহানায়ক উত্তমকুমার এবং মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। আজও তাঁদের জ্যোতি ম্লান হয়নি মাঝ আকাশে। কত তারকা এলেন-গেলেন। কত জুটি গড়ল-ভাঙল। কিন্তু কখনওই তা হারাতে পারেনি উত্তম-সুচিত্রার রোম্যান্টিকতাকে। আজও যেন পর্দার সেরার সেরা জুটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে।
সবটা কি অভিনয় করা যায়? এই প্রশ্ন যে দশকের পর দশক ধরে অস্থির করে তুলেছে বাংলার দর্শককে। একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে–উত্তম-সুচিত্রার কি প্রেম ছিল? ক্যামেরা বন্ধ হলেও কি সেই একই রোম্যান্টিকতায় ভেসে যেতেন তাঁরা। এর জবাব উত্তম না দিলেও দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।
বহু বছর আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা বলেছিলেন, “আমার উত্তমের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। আমরা খুবই ভাল বন্ধু ছিলাম। কেবল ভাল বললে কম বলা হবে। আমরা গভীরভাবে লিপ্ত ছিলাম বন্ধুত্বে।”
কলকাতার বনেদি বদ্যি পরিবারে বিয়ে হয়েছিল সুচিত্রার। সেই সময় তাঁর নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। শোনা যায়, প্রথম সন্তান জন্মেই মারা গিয়েছিল তাঁর। স্বামী দিবানাথ সেন জোর করে সিনেমায় নিয়ে আসেন সুন্দরী স্ত্রীকে। সেই থেকে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বছরের পর-বছর অভিনয় করেছেন সুচিত্রা। উত্তমের সঙ্গে জুটিতে অভিনয় করতে গিয়ে বিপুলতম খ্যাতির অধিকারী হয়ে ওঠেন তিনি। স্বামীকেও পরিত্যাগ করেন। একাই পথ চলেছেন শেষ দিন পর্যন্ত। সংসার জীবনে এক্কেবারেই সুখী হতে পারেননি মহানায়িকা। কিন্তু তাঁর পর্দার নায়ক উত্তমকুমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব কখনও তিক্ত হয়নি। সুচিত্রার মেয়ে মুনমুনের বিয়েতেও তদারকির গুরুদায়িত্বে ছিলেন মহানায়কই।