আমার বদলে ‘রান্নাঘরে’ কনীনিকা, শুনে প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে: সোজাসাপটা সুদীপা

নতুন ভাবে 'রান্নাঘর' শুরু হতে চললেও তাতে তিনি নেই সঞ্চালকের ভূমিকা। বদলে বাংলা বিনোদন জগতের আর এক চেনামুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘটনাচক্রে যিনি আবার সুদীপার ভাল বন্ধুও বটে। 'রান্নাঘর' হবে, অথচ থাকবেন না তিনিই! মন খারাপ সুদীপার? টিভিনাইন বাংলার কাছে অকপট স্বীকারোক্তি তাঁর।

আমার বদলে 'রান্নাঘরে' কনীনিকা, শুনে প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে: সোজাসাপটা সুদীপা
Follow Us:
| Updated on: Sep 14, 2024 | 10:02 PM

একগাল হাসি, বাহারি শাড়ি, গা ভর্তি গয়না আর কখনও-সখনও বড় টিপ– এই স্টাইল স্টেটমেন্টকে সঙ্গী করেই বছরের পর বছর ধরে জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এর দায়িত্ব সামলেছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আমজনতার কাছে তিনি ‘রান্নাঘরের সুদীপা’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। সেই সুদীপার কাছ থেকেই ‘হেঁসেলের’ দায়িত্ব সরেছে বহু আগেই। নতুন ভাবে ‘রান্নাঘর’ শুরু হতে চললেও তাতে তিনি নেই সঞ্চালকের ভূমিকা। বদলে বাংলা বিনোদন জগতের আর এক চেনামুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘটনাচক্রে যিনি আবার সুদীপার ভাল বন্ধুও বটে। ‘রান্নাঘর’ হবে, অথচ থাকবেন না তিনিই! মন খারাপ সুদীপার? টিভিনাইন বাংলার কাছে অকপট স্বীকারোক্তি তাঁর।

যা বললেন তুলে ধরা হল তাঁরই বয়ানে…

“সত্যি কথা বলতে কি, খুব মন খারাপ লেগেছিল। আসলে আমার পরিচয়ই তো ওই রান্নাঘর দিয়েই। আমি আরও অনেক কাজ করেছি। কিন্তু লোকে মনে রাখেনি। হয়তো মনে রাখার মতো কিছু করিনি বলেই রাখেনি। আমাকে দেখলেই লোকে বলে, ওই যে সুদীপা যে ওই রান্নাঘর করতো। প্রথম যখন রন্ধনে বন্ধনের (গৌরব চক্রবর্তী ও রিদ্ধিমা ঘোষ সঞ্চালিত আর এক রন্ধনবিষয়ক নন ফিকশন শো) প্রোমো দেখেছিলাম তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদে ফেলেছিলাম। আর এ ক্ষেত্রেও যখন দেখলাম আমারই বান্ধবী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হোস্ট করছে তখনও খুব দুঃখ লেগেছে। শুধু মনে হয়েছে রান্নাঘর হচ্ছে অথচ আমি নেই! আসলে এই শো’টার সঙ্গে তো টাকাপয়সার সম্পর্ক নেই শুধু, বাড়ির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এই শো শুরু করেছি। নিজে বাসন মেজেছি। ঘর ঝাড় দিয়েছি প্রথম দিকে। শুধু মনে হয়েছে ওটা তো আমারই রান্নাঘর।

মন যখন খুব খারাপ অগ্নিদেব মানে আমার স্বামী বোঝালেন যা শুরু হয় তার তো শেষ হবেই। তুমি বরং দুঃখ কোরো না, ওদের শুভেচ্ছা জানাও। আমারও তখন মনে হল, হ্যাঁ ঠিকই তো, কনি তো আমার বন্ধু, সুগৃহিণীও। হয়তো ও করলে অন্যরকম একটা স্বাদ আসবে। আসলে আমি বা অপাদি (অপরাজিতা আঢ্য) অনেকটা একই রকম, তাই আমি আবারও এলে হয়তো মানুষের মধ্যেও একঘেয়েমি চলে আসত। ওঁরাও হয়তো বিরক্ত হতেন, বলতেন— ওই সুদীপার এক কথা, এক শাড়ি… তার চেয়ে হয়তো এই ভাল। কনি এলে নতুন কিছু হবে। স্বাদবদল হবে।”

সুদীপা জানিয়েছেন, সঞ্চালিকা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কনীনিকার তরফে তাঁর কাছে কোনও ফোন আসেনি তাঁর কাছে। এ নিয়ে তিনি যেন খানিক অভিমানীও। বললেন, ” ও আমাকে ফোন করেনি বলে সত্যিই অভিমান হয়েছিল, মনে হচ্ছিল, কেন অন্যের কাছ থেকে শুনতে হল? এত ভাল বন্ধু, কেন আমাকে বলেনি? পরে যদিও ওর জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবলাম, সত্যিই তো ফোন করে কী বা বলত ও আমায়? যদি ওটা শুনে আমিও ভ্যা করে কেঁদে দিতাম, তখন? আরও বাজে পরিস্থিতি হত।” প্রাথমিক মন খারাপ কাটিয়ে নতুন কাজে যোগ দিয়েছেন সুদীপা। ভক্তদের জন্য খুব শীঘ্রই যে মেগা সারপ্রাইজ নিয়ে আসছেন তিনি, সে ইঙ্গিতও দিলেন স্পষ্টভাবেই।