টেলিভিশনে কাজ করেন যেসব অভিনেত্রীরা, তাঁরা ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময় নাচের রিল পোস্ট করেন। কেউ আবার শুটিং ফ্লোরে কোনও রিল তৈরি করে পোস্ট করছেন। কোনও ইভেন্টে ডাক পেলে, সেখানের খুঁটিনাটি তুলে ধরার জন্যও রিল পোস্ট করছেন অভিনেত্রীরা। যাঁদের এখনও সিনেমায় দেখা যায়নি, তাঁরা কে কাকে টেক্কা দিলেন ফলোয়ার্সে ?
চোখ বন্ধ করে এগিয়ে জগদ্ধাত্রী অঙ্কিতা মল্লিক। ৫১১ হাজার ফলোয়ার্স তাঁর। শ্যামৌপ্তি মুদলির ফলোয়ার ২৭৭ হাজার। ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকের তিতিক্ষা দাসের ফলোয়ার ৩২৭ হাজার। একই ধারাবাহিকের নন্দিনী দত্তর ফলোয়ার ২৭৪ হাজার। গীতা চরিত্রে অভিনয় করা হিয়া মুখোপাধ্যায়ের ফলোয়ার ১৬০ হাজার। ‘কথা’ ধারাবাহিকের সুস্মিতা দে কিন্তু পৌঁছে গিয়েছেন ১ মিলিয়ন ফলোয়ারে।
সাহেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে জুটিতে রিল ভিডিয়ো তাঁকে যে ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছুটা এগিয়ে দিয়েছে, তা বোঝা গেল। ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’-এর মণীষা মণ্ডলের ফলোয়ার অনেকটা কম। ১৯.২ হাজার থেকে আস্তে-আস্তে বাড়বে, আশা করা যায়। ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের নায়িকা দিব্যাণী মণ্ডল রয়েছেন ১৪৫ হাজারে। ‘উড়ান’ ধারাবাহিকের নায়িকা রত্নপ্রিয়া দাসের ফলোয়ার ২৪.৪ হাজার। ‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিকের পারিজাত চৌধুরীর ফলোয়ারের সংখ্যাও ১২ হাজার। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের জন্য জনপ্রিয় স্বস্তিকা ঘোষ। তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার ৩১৬ হাজার।
‘রোশনাই’ ধারাবাহিকের নায়িকা তিয়াশা লেপচার ফলোয়ার ৬০০ হাজার। সোনামণি সাহা তুলনায় সিনিয়র। তাঁর ফলোয়ার ১৫৫ হাজার। ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের আরাত্রিকা মাইতির ফলোয়ার ১৪৬ হাজার। এই মুহূর্তে বাংলার এক নম্বর ধারাবাহিকের নায়িকা ঈশানী চট্টোপাধ্যায়ের ফলোয়ার আপাতত ২২ হাজার। দিতিপ্রিয়া রায় বা ঊষসী রায়ের মতো নাম এই তালিকায় না রাখাই ভাল। তাঁরা একাধিক সিরিয়ালের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ বা সিনেমায় কাজ করে ফেলেছেন।
আবার অন্বেষা হাজরা, শ্বেতা ভট্টাচার্যকেও বাংলা ছবিতে দেখা গিয়েছে। দিতিপ্রিয়া রায়ের ফলোয়ার ১ মিলিয়ন। সুস্মিতা এখনই পৌঁছে গিয়েছেন সেই অঙ্কে। তাই এখন ইনস্টাগ্রামে কার কত ফলোয়ার সেই প্রতিযোগিতায় টেলিভিশনের নায়িকাদের প্রায় সকলকে গোল দিলেন তিনি।