দিন কয়েক আগের ঘটনা। মহান্ত রাজু দাস দাবি করেছিলেন মা হতে চলেছেন স্বরা, যদিও স্বরার ঘনিষ্ঠদের দাবি ছিল এ খবর মিথ্যে। অবশেষে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢাললেন স্বরা নিজেই। জানিয়ে দিলেন, মা হতে চলেছেন তিনি। এই ফেব্রুয়ারিতেই আইনি বিয়ে সেরেছিলেন স্বরা ভাস্কর। সমাজবাদী পার্টির মহারাষ্ট্র ও মুম্বইয়ের যুব সংগঠনের সভাপতি ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সামাজিক বিয়ে সেরেছিলেন মার্চ মাসে। এবার সংসারে আসছে নতুন অতিথি। বেবিবা ম্পের ছবি শেয়ার করে স্বরা লেখেন, “কখনও কখনও তোমার যাবতীয় প্রার্থনার উত্তর মেলে একসঙ্গে, আমি আশীর্বাদধন্যা, ভীষণ উত্তেজিত। নতুন এক পৃথিবীতে প্রবেশ হচ্ছে আমাদের।” একই সঙ্গে তিনি এও জানান, যা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি দিশাহীন। হ্যাশট্যাগে স্বরা জানান, এই অক্টোবরেই মা হতে চলেছেন তিনি।
তাঁর মা হওয়ার খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক প্রশ্ন। চলছে হিসেবনিকেষ। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, তবে কি আলিয়া-রণবীরের পথই অনুসরণ করলেন এই দম্পতি? গর্ভে সন্তান চলে আসার কারণেই কি তড়িঘড়ি বিয়ে করলেন তাঁরা? যদিও শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অনেকেই। সতীর্থদেরও এই জার্নিতে পাশে পেয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, স্বরা ও ফাহাদের বিয়ে নিয়ে কম হইচই হয়নি। বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করেননি স্বরা। তাই সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মৌলানা শাহবুদ্দিন রজবি তাঁদের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করেন। শুধু রিজবিই নন, শিকাগোর স্কলার ডক্টর ইয়াসির নদিম আল ওয়াজিদিও এই বিয়েকে ইসলাম মতে অবৈধ আখ্যা দেন। কেন? তাঁদের দু’জনেরই যুক্তি, শরিয়ৎ বিরোধী কাজ করেছেন স্বরা। যদিও সে সবে পাত্তা না দিয়ে স্বরা ও ফাহাদ শুরু করেছিলেন পথচলা। কীভাবে আলাপ হয় তাঁদের দু’জনের ? ২০২০ সালে মার্চ মাসে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা শুরু হয়। বোনের বিয়েতে স্বরাকে আমন্ত্রণ জানান ফাহাদ। আসতে পারেননি স্বরা, শুটিং ছিল তাঁর। কিন্তু একটি বিড়ালই মিলিয়ে দেয় তাঁদের। শুরু হয় প্রেম। একসঙ্গে মিটিং, পায়ে হেঁটে মিছিল, ব্যারিকেড… হাতে-হাত…মিলে মিশে এক হয়ে যায়। বিয়ে হয়, এবার আসছে সন্তান। আনন্দে আত্মহারা তাঁরা।