ছবি বিশ্বাসের প্রিয় বন্ধু কে ছিলেন জেনে অবাক হয়েছিলেন তরুণ মজুমদার…
নবীন পরিচালক তরুণ মজুমদার ও তাঁর যাত্রিকের বন্ধুরা চিন্তায় ছিলেন, ছবি বিশ্বাসের কাছে কীভাবে পৌঁছনো যায়! এই সব ভাবতে-ভাবতেই অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিনেতা নৃপতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি বিশ্বাসের খুব ভাল সম্পর্ক।

তরুণ মজুমদারের পরিচালক হওয়ার পিছনে উত্তম কুমার- সুচিত্রা সেনের অবদানের কথা পরিচালক বহুবার বলেছেন তাঁর লেখা ‘সিনেমা পাড়া দিয়ে’ বইতে। তবে দর্শকরা যখন পর্দায় সিনেমা দেখেন, তখন তাঁরা বুঝতেই পারেন না প্রতিটি সিনেমা তৈরির পিছনে রয়েছে, এমন সব কাহিনি। যেগুলি জুড়ে দিলে আস্ত একটা ছবি হয়ে যায়। এমনই এক গল্প লিখেছেন তরুণ মজুমদার তাঁর বইতে। ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিতে উত্তম- সুচিত্রার ডেট পাওয়া কোনও সমস্যাই ছিল না, বরং পার্শ্বচরিত্রের জন্যে ছবি বিশ্বাসকে রাজি করানো ছিল বড় পরীক্ষা। নবীন পরিচালক তরুণ মজুমদার ও তাঁর যাত্রিকের বন্ধুরা চিন্তায় ছিলেন, ছবি বিশ্বাসের কাছে কীভাবে পৌঁছনো যায়! এই সব ভাবতে-ভাবতেই অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিনেতা নৃপতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি বিশ্বাসের খুব ভাল সম্পর্ক।
কোনও মতে নৃপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সফল হলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। এরপর নৃপতি সবটা শুনে জানালেন, এত ভয়ের কিছুই নেই। ছবি বিশ্বাস তাঁর বিশেষ বন্ধু। তিনি বলে দিলেই ছবিটি করতে রাজি হয়ে যাবেন ছবি বিশ্বাস। এই কথাতে অবশ্য তরুণ মজুমদারদের খুব একটা আস্বস্ত হননি। রোগা কাঠের মতো চেহারা অদ্ভুত গলার স্বর, বাংলা ছবির কমেডিয়ান। তবে তাঁদের অবাক করে দিলেন। যখন নৃপতি তাঁদের নিয়ে পৌঁছে গেলেন ছবি বিশ্বাসের বাড়ি। দরজার বাইরে থেকে হাঁক পারলেন ছবি বিশ্বাসের নাম নিয়ে। এরপর আরও অবাক হলেন ছবি বিশ্বাসের নৃপতির প্রতি অনুরাগ দেখে। সেদিন ছবি বিশ্বাসের কাছে তরুণ মজুমদার ও তাঁর বন্ধুদের প্রশংসা করে বাড়ির গিন্নির কাছে চলে গেলেন। এরপর অবশ্য ছবি বিশ্বাস নবীন পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে ছবি করতে রাজি হলেন। আর শুরু হল ‘চাওয়া পাওয়া’র শ্যুট। ছবি বিশ্বাস ও নৃপতি চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব টলিপাড়ার খুব প্রচলিত ছিল সেই সময়।





