অরিত্র দত্ত বণিককে কে ভুলতে পারে। বাংলার সবচেয়ে মনে রাখার মতো শিশুশিল্পী তিনি। মুকুল, মাস্টার বিট্টুর মতোই একই সারিতে অরিত্র। যে সময় অরিত্রর চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে উত্থান, সেই সময় আরও একজনের উত্থানও ঘটেছিল এবং সেই মেয়েটি এখন অনেকটাই আড়ালে। ডান্স বাংলা ডান্সে সঞ্চালক ছিল সেও। সেই তাথৈ এখন কোথায়? কী করছেন? জীবনের প্রথম সঞ্চালনার অতীত ঘাঁটতে গিয়ে তাথৈয়ের হদিশ দিলেন অরিত্র।
তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে অরিত্র এক অনুরাগীর কথাও উল্লেখ করেছেন, যিনি তাঁর সংগ্রহ থেকে কিছু জিনিস অরিত্রকে পাঠিয়েছিলেন।
অরিত্রর ফেসবুক পোস্ট?
“প্রায় এক দশক আগে।
দর্শক-অনুরাগী সোমাশ্রী পাল তাঁর সংগ্রহ থেকে পাঠালেন। গত দশকে তখন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও শুভংকর চট্টোপাধ্যায় এবং জ়ি বাংলার ম্যানেজমেন্ট টেলিভিশন সঞ্চালনার একচ্ছত্র সম্রাট মীরের বদলে নতুন শো ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’ সঞ্চালনার দায়িত্বে এক বাচ্চা ছোকরাকে নিচ্ছেন। কর্পোরেটের অনেক আপত্তি ছিল। কারণ, আমার তখন বিশেষ প্রোফাইল নেই। বিশেষ কিছু রেকমেন্ডেশন নেই। প্রাতিষ্ঠানিক অভিনয় শিক্ষা নেই। তাই তাঁরা এত্ত বড় বিনিয়োগে নতুন ছেলেপেলেকে নিয়ে রিস্ক নেবেন না। কিন্তু রাজ চক্রবর্তী, শুভংকরবাবুদের দলের পক্ষ থেকে অধিকাংশ লোক আমার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন একটাই শক্তিতে, কারণ আমি অবলীলায় কথা বলতে পারতাম। আশৈশব কবিতা পাঠ ও ডিবেটের প্রশিক্ষণ থাকায় কমিউনিকেশন স্কিলটুকু সামান্য ছিল। অতএব প্রোগ্রাম শুরু হল আর মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে স্ক্রিপ্টের বাইরে বেরিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী আমাদের মহাগুরু এক অন্য অবতারে আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়লেন। সেই শুরু, তারপর থেকে আমার কেরিয়ারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট হয়ে রইল।
ছবিতে আমার সহ-সঞ্চালক সবার প্রিয় তাথৈ, তিনি এখন মার্কিনমূলুকে কর্মরত এবং বাকিদের মধ্যে একজন আজকের বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত পছন্দের মুখ অভিনেত্রী-গায়িকা সুরঙ্গনা। এবং অবশ্যই ছবিতে মিসিং আমার আর এক সহ-সঞ্চালক এবং সবার প্রিয় বিট্টু। দীর্ঘদিনের পর ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’ আবার ফিরে এসেছে মহাগুরুকে নিয়ে। সবাই চোখ রাখুন জি বাংলায়।”