Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma Death: ২০ দিনের জীবন-মৃত্যু লড়াই থামল অভিনেত্রীর, চিরনিন্দ্রায় ঐন্দ্রিলা শর্মা

Aindrila Sharma; অসুস্থতার খবর সামনে আসুক, চাননি খোদ অভিনেতা সব্যসাচী। তবে নিজেই দু'বার এই প্রসঙ্গে চিন্তিত দর্শকদের, শুভাকাঙ্খীদের জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার খবর।

Aindrila Sharma Death: ২০ দিনের জীবন-মৃত্যু লড়াই থামল অভিনেত্রীর, চিরনিন্দ্রায় ঐন্দ্রিলা শর্মা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 1:39 PM

এ যেন এক অটুট প্রেমকাহিনি। মৃত্যুও যেখানে হার মেনেছে বারে-বারে। সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মার সম্পর্ক ঠিক এমনই সুরে সাজানো। তবে সেই স্বপ্নের রূপকথা আজ যেন তাসের দেশের মতো ভেঙে পড়ল আজ অর্থাৎ রবিবার। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। নবান্নের পাশে বেসরকারি হাসপাতালে অবশেষে থামল লড়াই। রবিবারই প্রয়াত হলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ২৪ বছর।

১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুরু হয়েছিল জীবন-মরণ লড়াইয়ের তৃতীয় ইনিংস। টানা ২০ দিনের লড়াইয়ে ক্লান্ত ঐন্দ্রিলা অবশেষে হার মানলেন। যে প্রেমকাহিনির সাক্ষী থেকেছে দর্শকেরা, সোশ্যাল মিডিয়া, সেই অনুরাগীদের কাছেও শেষ সময় ফিরতে ভোলেননি সব্যসাচী। শেষ করা পোস্টে লিখেছিলেন- কোনওদিন এটা লিখতে হবে ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করুন। মিরাকেলের জন্য প্রার্থনা করুন। অলৌকিক শক্তির জন্য প্রার্থনা করুন, সে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ছে, মানুষের চেষ্টার উর্দ্ধে। তবে চোখের সামনে মিরাকেল হতে দেখেছিলেন সব্যসাচী। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) যখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর, তখন চোখের সামনে কীভাবে ধীরে ধীরে শরীর ঠাণ্ডা হতে দেখেছিলেন সব্যসাচী জানিয়েছিলেন নিজেই। করেছিলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। সেখানেই লিখেছিলেন মৃত্যুর মুখ থেকে কীভাবে মেয়েটি ছিটকে ফিরে এসেছে।

ভাল হচ্ছিল ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি। উন্নতি হচ্ছিল, নিজেই জানান সব্যসাচী। যদিও আবারও মেলে খারাপ খবর শনিবার রাতে। এপিসোড হার্টঅ্যাটাকের খবর আগেই মিলেছিল মঙ্গলবার সকালে। আবারও শনিবার একইভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। শনিবার সন্ধ্যের পর ১০বার হার্টঅ্যাটাক হয় ঐন্দ্রিলার। তারপর থেকেই শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। শেষ সময় ২৪ ঘণ্টা ডাক্তারের কড়া নজরে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। হাসপাতাল সূত্রে খবর বিছানার পাশে সর্বক্ষণ উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার শেষ চেষ্টা করতে মরিয়া ছিলেন তাঁরা। তবে এবার ঐন্দ্রিলাই থামালেন লড়াই।

রবিবার সব্যসাচীর আশঙ্কাই হল সত্যি। এদিন বেলা ১টায় শান্তিশয়নে ঐন্দ্রিলা। খবর সামনে আসার পর থেকেই শোকের ছায়া সর্বত্র। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় ঐন্দ্রিলার লড়াই। মারণ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। দিল্লিতে তাঁর ব্যোন ম্যারো ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছিল। তবে সেই লড়াই থামতে না থামতেই ২০২১ সালে ধরা পড়ে ফুসফুসে টিউমার। সেখানেই অপরাজেয় তিনি। সব্যসাচীর লড়াইয়ের পাশে হার মানে সমস্ত নেগেটিভিটি। তবে ২০২২-এর ধাক্কা আর সহ্য করতে পারলেন না অভিনেত্রী। এইবার তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে আসুক, চাননি খোদ অভিনেতা সব্যসাচী। তবে নিজেই দু’বার এই প্রসঙ্গে চিন্তিত দর্শকদের, শুভাকাঙ্খীদের জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার খবর। তবে শেষ পোস্টেই মিলেছিল ইঙ্গিত– ভাল নেই ঐন্দ্রিলা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলল খবর। শোকস্তব্ধ নেটপাড়া।