Debadrita Saha: ‘হাই হিল জুতো পরে দাঁড়িয়ে থাকাটাও একটা স্ট্রাগল’, মনে করেন ছোট পর্দার দেবাদ্রিতা
Bengali Serial: ক্লাস ১১-এ পড়ার সময় সুযোগ এল 'জয়ী' ধারাবাহিকের লিড হিসেবে। এক ফুটবলারের চরিত্র ছিল সেটি।
৪ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ শুরু হয়েছিল ‘জয়ী’ সিরিয়ালটি। সেই ধারাবাহিকে মুখ্য মহিলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দেবাদ্রিতা সাহা। সেই সময় ক্লাস ১১-এ পড়তেন দেবাদ্রিতা। হঠাৎ করেই সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনয়ের। এক মহিলা ফুটবলারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল দেবাদ্রিতাকে। সেই শুরু। প্রথম সিরিয়ালেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন দেবাদ্রিতা। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এর পর ‘মীরাবাঈ’ ধারাবাহিকে সুযোগ আসে। বর্তমানে সান বাংলার ধারাবাহিক ‘আলোর ঠিকানা’-এ কাজ করছেন। কেমন ছিল দেবাদ্রিতার টলিউড জার্নি?
একটি টকশোতে এসে দেবাদ্রিতা তাঁর সংগ্রামের কথা শেয়ার করেছেন দর্শকের সঙ্গে। তিনি চাকদহের মেয়ে। বাবা, মা ও বোনকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। বাড়ির অত্যন্ত আদুরে তিনি। ছোট থেকে কোনও অভাবই হতে দেননি তাঁর বাবা-মা। কিছু চাওয়ার আগেই হাতের কাছে হাজির হয়ে যেত সবকিছু। ছোট থেকেই তিনি অভিনেত্রী হতে চাইতেন। আয়নার সামনে মায়ের শাড়ি পরে ‘অ্যাক্টো’ করতেন। বাবা নিয়ে যেতেন অডিশনে। কোনওটায় সুযোগ আসত, কোনওটায় না। সেই ভাবেই ক্লাস ১১-এ পড়ার সময় সুযোগ এল ‘জয়ী’ ধারাবাহিকের লিড হিসেবে। ফুটবলারের চরিত্র ছিল সেটি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ও সিরিয়ালের নায়িকা হিসেবে কাজ সমানতালে সামলেছেন দেবাদ্রিতা। জয়ী হয়েছেন পর্দার এপারেও।
কিন্তু এই সমস্ত করতে গিয়ে স্ট্রাগলও করতে হয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, লাইমলাইটে ভরা ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নিত্যদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং, নেতিবাচক মন্তব্য অনেক সময় মন ভেঙে দেয়। তার উপর সব দুঃখকে সরিয়ে সদা হাস্যময়ী হয়ে নিজেকে উপস্থাপন করেও একটা বড় ব্যাপার। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি হাই হিল পরে দাঁড়িয়ে থাকাটাও একটা স্ট্রাগল”।