
নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘প্রাক্তন’-এ প্রথম অভিনয়। ছোট্ট একটি চরিত্রে। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়ের বোনের চরিত্রে। তারপর বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন নাচে পারদর্শী এই অভিনেত্রী। ‘সাহেবের চিঠি’ সিরিয়ালে খলনায়িকাও হয়েছেন। তবে নন্দিতা- শিবপ্রসাদের ‘গোত্র’ ছবিতে ‘রঙ্গবতী’ গানে নেচে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন দেবলীনা কুমার। নাচই তাঁর প্যাশন। তাঁর নেশা। তাঁর ধ্যানজ্ঞান সবটাই। কলকাতার সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। পরবর্তীতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাচ নিয়ে পিএইচডি করছেন দেবলীনা। এটি তাঁর নিজ অর্জিত পরিচয়। জন্মসূত্রে এবং বিবাহসূত্রে তাঁর আরও দুটি পরিচয়, তিনি বিধায়ক দেবাশিস কুমারের একটিমাত্র আদরের কন্যা এবং উত্তরকুমারের নাত-বউ। এই দুটি পরিচয়ের জন্যই নেটদুনিয়ায় নিজেকে ‘ইজ়ি টার্গেট’ কিংবা ‘সহজ নিশানা’ মনে করেন দেবলীনা।
একটি প্ল্যাটফর্মে এসে দেবলীনা বলেছেন, “এটা হয়তো ঠিক, কিছু মানুষের অ্যাকসেস হয়তো আমি পেয়েছি সহজে। একটা কাজ দিয়ে যদি মানুষ দেখতেন, আমি সেই কাজের উপযুক্ত নই, তা হলে আমার কাছে পরের কাজগুলো আসতই না। ধরেই যদি নিই, আমার বাবার বিধায়ক পরিচিতির কারণে তাঁরা আমাকে কাজ দিয়েছেন, তা হলে পরবর্তী কাজগুলো আমি পেয়েছি আমার মেধা এবং পরিশ্রমের কারণেই।”
বিধায়ক-কন্যা আরও বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রোলিং হয় আমাকে নিয়ে। বলা হয় যে আমি বিধায়ক কন্যা এবং এই মুহূর্তে উত্তরকুমারের নাত বউ বলেই আমি প্রচণ্ড প্রিভিলেজড। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর অনেক নেগেটিভ পয়েন্টস আছে। আমাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। খালি মনে হয়, আমি যা-যা করছি, কিংবা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছি, সেটা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। এবং বিশ্বাস করুন, আমি ভীষণ সফ্ট টার্গেট। মনে করি, আমাকে অনেক কিছু সহজেই শোনানো যায়। ট্রোলাররা কাজ কখন করেন আমি জানি না। তাঁদের একটা ধারণা আছে, তাঁরা সেলেব্রিটিদের যা খুশি তাই বলতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা টার্গেট হই। আমি একটু বেশিই টার্গেট হই।”