মাস খানেক আগের কথা। অসম্ভব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শিরদাঁড়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর। জটিল একটি অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে চেন্নাইয়ে যেতে হয়। বেশ কিছুদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। সে সময় তিনি ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন মুখ্য চরিত্রে। অনেকদিন সেই কাজটাও করতে পারেননি। তাঁকে ছাড়াই চলছিল ‘আয় তবে সহচরীর’ সম্প্রচার। ধারাবাহিক বন্ধ হয়েছে। ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন কনীনিকা। কিন্তু নতুন একটি সমস্য়া ঘিরে ধরে তাঁকে। অস্ত্রোপচারের পর তিনি হারিয়ে ফেলেন কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠও ফিরে পাচ্ছেন অভিনেত্রী। আর দু’দিন পরই ষষ্ঠী। অনেক পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় অনুষ্ঠানও হচ্ছে শারদীয়াকে কেন্দ্র করে। সেরকমই একটি শারদীয়ার অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন কনীনিকা। তিনি নৃত্য পরিবেশন করেছেন মন ভরে, প্রাণের আনন্দে।
সেই ভিডিয়ো কনীনিকা শেয়ার করেছেন নিজ ফেসবুকে। লাইভ করেছিলেন প্রথমে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেই ভিডিয়ো উধাও হয়ে যায়। খুব মন খারাপ হয়ে অভিনেত্রীর। তারপর রেকর্ড করা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “আমার লাইভগুলো কালকের শোয়ের বুঝলাম না কী কারণে ফেসবুক সরিয়ে নিল। কেউ নিশ্চয়ই কমপ্রেন দিয়েছে… খুব দুঃখের! সার্জারির পর মনে জোর এনে পারফরম্যান্সটা করলাম। ঊর্মীমালাকে ধন্যবাদ যে, অন্য ফোনে রেকর্ডিং করেছিল। আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম আবার।”
অদম্য লড়াইয়ের নাম কনীনিকা। তিনি হার মানার পাত্রী নন। তিনি প্রতিকূলতাকে জয় করতে চান সবসময়। অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সকলকে মনের সাহস দেন। না হলে কেউ এত বড় অস্ত্রোপচারের পর সাহস নিয়ে নাচের পারফরম্যান্স করতে পারে না।