কিছুদিন আগেই ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকে গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স করেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। তার আগে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ‘তোমায় আমায় মিলে’ সিরিয়ালে। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন ঋতাভরীর বোনের চরিত্রে। ১৩ বছরের টেলিভিশনে জার্নি। সব ছেড়ে দিয়ে ঘোর সংসারী হতে চলেছেন অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে তাঁর বিয়ে। সম্বন্ধ করে পাত্র বাছাই করেছে তাঁর পরিবার। বাবা-মায়ের পছন্দ করে দেওয়া পাত্রকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। বিয়ের পর দেশের মাটি ছেড়ে পাড়ি দেবেন সিয়াটেলের মাটিতে। আপাতত পেশা ছাড়ার গ্লানি নেই। নতুন জীবনের প্রতিই তাঁর সমস্ত ধ্যানজ্ঞান উজাড় করে দিয়েছেন রুশা।
TV9 বাংলাকে রুশা বলেছেন, “অনেকদিন আগেই আমি এই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছি। পরের সপ্তাহে বিয়ে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে আমি সিয়াটেলে চলে যাচ্ছে স্বামীর সঙ্গে। আমার স্বামী ওখানেই কাজ করেন। ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র। ওখানে থাকে, ওখানেই কাজ করবে ও। ১৩ বছর আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক আনন্দ করে কাজ করেছি। এখন মনে হয় আমার সেটেল ডাউন করা দরকার। যে কটা চরিত্রে অভিনয় করেছি, সবক’টাই ভাল লেগেছিল। শেষমেশ সব চরিত্রদের চিরবিদায় জানিয়ে আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমি এখন একটাই কথা ভাবছি – নিজের বিবাহিত জীবনটা সুন্দর করে কাটাব। নতুন একটা দেশে, নতুন একটা শহরে যাচ্ছি। এই সময় কেবলই ট্র্যাভেল করার কথা ভাবছি।”
রুশা জানালেন, তাঁর স্বামীর পরিচয় তিনি গোপনই রাখতে চান আপাতত। সকলকে সারপ্রাইজ় দিতে চান পরে। বললেন, “এটা একটা অ্যারেঞ্জড কাম লাভ ম্যারেজ। বাবা-মায়েরা ঠিক করেছে। তারপর আমাদের দেখা হয় এবং আমরা একে-অপরকে ভালবেসে ফেলি। এটা বুঝলাম, বাবা-মায়েরাই সঠিক জীবনসঙ্গী খুঁজে দেন।”