Twarita Chatterjee: ত্বরিতার ইচ্ছেপূরণ, এই স্বপ্নে অভিনেত্রীর হাত ধরতে পারেন আপনিও!

Twarita Chatterjee: ত্বরিতা জানালেন, এই ক্যাফের লোগো ডিজাইন করেছেন সৌরভ। বাকি সব কিছুতেই তাঁর সহযোগিতা রয়েছে। কিন্তু শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলে কি সময় দিতে পারবেন?

Twarita Chatterjee: ত্বরিতার ইচ্ছেপূরণ, এই স্বপ্নে অভিনেত্রীর হাত ধরতে পারেন আপনিও!
ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 12:09 PM

অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল তাঁর। ছোটবেলার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। হাত ধরলেন অবশ্যই স্বামী তথা অভিনেতা সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছোটবেলার বন্ধু দেবশ্রী। বন্ধুর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ক্যাফে শুরু করলেন ত্বরিতা।

দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজী সুইটসের পাশে ত্বরিতার এই ক্যাফে। নাম ‘পকেট ফ্রেন্ডলি অটোওয়ালা’। কেন এমন নাম? TV9 বাংলাকে ত্বরিতা বললেন, “আমাদের ছোট জায়গা। টেক অ্যাওয়েও রয়েছে। আসলে পকেট ফ্রেন্ডলি ক্যাফে তো পাওয়া যায় না। আমার কলেজ জীবনে কিছু খেতে গেলে, কোথাও আড্ডা দিতে গেলে প্রচুর টাকা দিতে হত। প্রচুর খরচ হত। পকেট মানির থেকে দিতে পারতাম না। সে জন্যই এত কম খরচে খাওয়ার ব্যবস্থা। টিনএজার, কলেজ স্টুডেন্টরা যাতে নির্দ্ধিধায় খেতে পারে। আর অটো বললেই মনে হয়, সস্তায় এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। সে জন্য এই নাম। সাইকেলের উপর টেবিল, টায়ার দিয়ে বসার জায়গা হয়েছে।”

ত্বরিতা জানালেন, এই ক্যাফের লোগো ডিজাইন করেছেন সৌরভ। বাকি সব কিছুতেই তাঁর সহযোগিতা রয়েছে। কিন্তু শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলে কি সময় দিতে পারবেন? ত্বরিতার কথায়, “শুটিংয়ের শিডিউল এখন আটটা পর্যন্ত। তারপর গিয়ে সময় দিতে পারছি। খেতে খুব ভালবাসি। আমি ডায়েটিশিয়ানও। সে জন্য খাবার বিষয়টা ছোট থেকেই ভাবি। রান্না করতেও ভালবাসি। আমার ক্যাফেতে অমলেটের অনেক ভেরিয়েশন আছে। এটা স্পেশ্যালিটি।”

কলকাতা শহরে ক্যাফে তো নতুন নয়। তা হলে বড় প্রতিযোগিতার মধ্যেই তো থাকতে হবে ত্বরিতাকে? যদিও কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, “আমি যে টাকায় যে কোয়ালিটির খাবার দেব, সেটা কেউ দিতে পারবে না। এই কয়েক দিনেই বিল দেখে সকলে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। সেটাই পাওনা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে এই ক্যাফে।”

View this post on Instagram

A post shared by SANDIPTA SEN (@sandiptasen)

বাংলা টেলিভিশন ত্বরিতার কর্মক্ষেত্র। বেশ কিছু ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। সব সময় যে পছন্দের চরিত্রে অভিনয় সুযোগ এসেছে, তা নয়। তবে নিজেকে পজিটিভ রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। প্রায় ১২ বছরের হতে চলল তাঁর কর্মজীবন। এই কয়েক বছরে অনেক রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লড়াইয়ের মানসিকতা বজায় রেখেছেন। কর্মক্ষেত্রে মন খারাপে পিছিয়ে না পড়ে, নিজের যোগ্যতায় ফের এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ বার নতুন উদ্যোগ নিয়ে তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পালা।

আরও পড়ুন, Bollywood News: বিয়ের পরই বদলে গেল পত্রলেখার পরিচয়, ‘ভাবিজি’ বলে সম্বোধন!