ছোট্ট ব্যাট কাঁঁধের উপর ফেলা। হাতে রয়েছে সাদা বল। এই দুটো উপহার পেয়ে সে যে দারুণ খুশি, তা বলে দিচ্ছে তার মুখের হাসি। উপহার হাতে সোজা ক্যামেরায় পোজ দিয়েছে সে। অর্থাৎ আদিদেভ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র সন্তান আদিদেভ। কিন্তু এই উপহার কার কাছ থেকে পেল আদিদেভ?
ছেলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সেই রহস্যই ফাঁস করেছেন সুদীপা। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, প্রিন্স অব ক্যালকাটা অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা প্রথম ব্যাট এবং বল উপহার হিসেবে পেয়েছে আদিদেভ। নিঃসন্দেহে তার জন্য আনন্দের মুহূর্ত। খুশি আদিও। সেই খুশি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেনস সুদীপা।
ঠিক তার আগে আদিদেভের আরও একটি ছোট্ট ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন সুদীপা। তার ক্যাপশনে ‘বস বেবি’ এই দুটি শব্দ লিখেছেন সুদীপা। আদি আসলে গিয়েছিল ‘দাদাগিরি’র সেটে। সেখানে একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে খুদের।
মায়ের সঙ্গী হিসেবেই দাদাগিরির শুটিংয়ে গিয়েছিল আদি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পারিবারিক সম্পর্ক। ঘরোয়া পরিবেশে সৌরভকে এক রকম ভাবে দেখতে অভ্যস্ত আদি। শুটিং সেটে গিয়ে এ বার দেখল অন্য রূপে।
মা হওয়া যে কোনও মেয়ের কাছেই নিঃসন্দেহে অন্য রকম অনুভূতি। মাতৃত্বের পরিচয় যেন যে কোনও পরিচয়ের থেকেই বড় হয়ে ওঠে। মা হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন সুদীপাও। টেলিভিশনে বিভিন্ন রকম কাজের সঙ্গে জড়িত তিনি। কখনও রান্নার শো-এর জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর। কখনও বা স্ক্রিপ্ট লিখছেন। কখনও আবার তিনি পরিচালকের আসনে। সদ্য নিজের বুটিক শুরু করেছেন। পেশাদার জগতে বিভিন্ন রকম পরিচয় রয়েছে তাঁর। আবার ব্যক্তি জীবনেও কখনও তিনি স্ত্রী, কখনও বা মেয়ে। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে মায়ের পরিচয়টাই যেন এখন তাঁর জীবনের অন্যতম সম্পদ। সুদীপার ছেলে আদিদেভ চট্টোপাধ্যায় জন্মের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন। আদিদেভকে পছন্দ করেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আদিদেভের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেন সুদীপাও। বেশ কয়েক মাস আগে ছেলের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘মা হওয়াটা আমার অস্তিত্বের জন্য এখন যথেষ্ট…অভিভাবক হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কিন্তু আপনাকে খুব দ্রুত শিখতে হবে। শিখতে হবে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই।’
সুদীপার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর আদিদেভের জন্ম। ফলে প্রথম সন্তানের জন্য বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন দম্পতি। মা হতে গেলে শরীরে এবং মনে যে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা পুরোদস্তুর নেওয়ার পরই সন্তানের সিদ্ধান্ত নেন সুদীপা। আদিদেভের জন্মের পর ছেলের প্রতিটি কাজ নিজে হাতে করেছেন। দীর্ঘদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছিলেন সুদীপা। আসলে ছেলের বড় হওয়ার কোনও মুহূর্ত মিস করতে চাননি তিনি। অভিভাবকত্বের পাঠ নিয়েছেন সন্তান আগমনের আগে থেকেই। সেই পাঠ নিতেই তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন, মহালয়ার বিশেষ লুকে ঊষসী, কোথায় দেখা যাবে তাঁর পারফরম্যান্স?