মফঃস্বলে বড় হয়ে উঠছে অদ্রিজা রায়। বয়স ২৪-এর আশেপাশে। সিরিয়াল দিয়ে যাত্রা শুরু, সেখান থেকে সিনেমা, আবার সিরিয়াল হয়ে এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে। বড় ব্রেক পেয়ে আপাতত সেখানেই তাঁর সুখের সংসার। হিন্দি ধারাবাহিক ‘দুর্গা অউর চারু’তে তিনি রয়েছেন নামভূমিকাতেই। যদিও টিআরপি বলছে, ওই ধারাবাহিকের রেটিং ভাল না, কিন্তু অদ্রিজার হ্যাপেনিং জীবন বুঝিয়ে দিচ্ছে তিনি মেলেছেন রঙিন ডানা। ধারাবাহিকে অদ্রিজার বিপরীতে রয়েছেন কুনাল সিং। বহুদিন ধরে হিন্দি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। অদ্রিজার সঙ্গেও তাঁর কেমিস্ট্রি চোখে পড়ার মতো। তবে একা নয়, ও রাজ্যে তাঁর সঙ্গী তাঁর পোষ্য। মাঝেমধ্যেই তাকে নিয়ে রিলস বানাতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। হাজির ছিলেন অভিনেত্রীর বাবাও। সব মিলিয়ে দারুণ কাটছে তাঁর মুহূর্তগুলো। অদ্রিজা বরাবরই মজা করতে ভালবাসেন। তিনি নাকি খেতেও ভালবাসেন খুব। বিরিয়ানি দু-তিন প্লেট খেয়েও মোটা হন না তিনি। নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। বাংলা ছবিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য চরিত্র ‘পরিণীতা’ ছবিতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বন্ধু। চরিত্রটি ছোট হলেও তিনি বেশ নজর কেড়েছিলেন।
অন্যদিকে, গত নভেম্বরেই তাঁর ধারাবাহিক ‘মৌ এর বাড়ি’ শেষ হয়েছে। বিদায় বেলায় আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। শেয়ার করেছিলেন জার্নির কথা। ওই ধারাবাহিকেই তাঁর সতীর্থ অভিনেতা সপ্তর্ষি রায়। আবেগ মেখে তিনিও লেখেন, “জানেন তো, আমরা যারা দিনের পর দিন শুধুমাত্র পেশার কারণেই বহু চরিত্র সাজি, বহু সম্পর্ক যাপন করি, বহু অনুভূতির পসরা সাজাই…তারা কোথাও না কোথাও এসে খুব একা হয়ে পড়ি, ফাঁকা লাগে! কর্মজগৎ কখন যে ব্যক্তিগত পরিসরে অনধিকার প্রবেশ করে সত্যি, মিথ্যে, নকল, আসলের বিভেদটাকে আবছা করে দেয় নিজেরাও বুঝতে পারিনা! কোনটা যে অভিনয় আর কোনটা যে নয়, সেটাও এমনভাবে গুলিয়ে যায় যে ভরতমুনি থেকে স্তানিস্লাভস্কিও অসহায় হয়ে পড়েন!”
এরপরেই শোনা গিয়েছিল ওই চ্যানেলেই আর একটি বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করবেন তিনি। কিন্তু কোথায় কি? তিনি পৌঁছে গেলেন জাতীয় স্তরে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের হাত ধরে। তবে ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন তাঁর এই উত্থান নাকি অনেকেই ভাল চোখে নেননি। চলেছে নানা আলোচনা। তাতে অবশ্য অদ্রিজার বিশেষ কিছু যায় আসে না। আপাতত তাঁর স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে আরবসাগরের তীরে।