Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma: ও ঠিক ফিরে আসবে, ঐন্দ্রিলার যে একা থাকতে বিরক্ত লাগে: সব্যসাচী

Sabyasachi Chowdhury: দিনরাত তাঁর কাছে হাসপাতালে বসে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার যুদ্ধের সময়ও এই সব্যসাচীই ছিলেন তাঁর মানসিক জোর।

Aindrila Sharma: ও ঠিক ফিরে আসবে, ঐন্দ্রিলার যে একা থাকতে বিরক্ত লাগে: সব্যসাচী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 8:57 PM

এখনও হাসপাতালেই ভর্তি আছেন বাঙালি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তারপর ৬ দিন কেটে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার (০১.১১.২০২২) হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর জ্ঞান এখনও ফেরেনি। এদিকে দিনরাত তাঁর কাছে হাসপাতালে বসে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার যুদ্ধের সময়ও এই সব্যসাচীই ছিলেন তাঁর মানসিক জোর। এবারও তিনিই ঐন্দ্রিলার সাপোর্ট সিস্টেম। যে কারণে ক্যান্সারকে জয় করে ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন, “শরীর খারাপের সময় শারীরিক যন্ত্রণা ছিল ভীষণ, কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা একফোঁটাও ছিল না”।

ক্যান্সার যোদ্ধা ঐন্দ্রিলার প্রতি ধাপের লড়াই লম্বা ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করতেন সব্যসাচী। প্রেমিকার মানসিক জোর, শারীরিক যন্ত্রণা সম্পর্কে নানা কথা জানাতেন। ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে প্রেমিকাকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। এবার ঐন্দ্রিলার স্টোক হওয়ার পর টানা ৬দিন বাড়ি না ফিরে নাকি হাসপাতালেই আছেন সব্যসাচী। সোমবার তিনি দ্বিতীয় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “হাসপাতালে ৬ দিন পূর্ণ হল আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। শ্বাসক্রিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকেন, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করান, যত্ন নেন। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে।”

কী গল্প করেন সব্যসাচী? তিনি যা লিখেছেন তা চোখে জল এনে দিতে পারে। তিনি লিখেছেন, “গলা চিনতে পারে। হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়। দরদর করে ঘাম হয়। হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।”

প্রেমিকা হাসপাতালে শয্য়াশায়ী। প্রাণটা কেঁপে ওঠে সব্যসাচীর। কিছু মানুষের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি। সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে, তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।”

শেষে সব্যসাচী লিখেছেন:
“‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচণ্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে। …কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।”