‘গাঁটছড়া’– একদা টপার এই ধারাবাহিককে এখন প্রথম দশে আসতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। টিআরপি কমলেও অনুরাগীরা কিন্তু ভুলে যায়নি ধারাবাহিকটিকে। কেন্দ্রীয় চরিত্র খড়ি ওরফে সোলাঙ্কি রায়, ধারাবাহিকটি ছেড়ে দিলেও বন্ধ হয়ে যায়নি এই ধারাবাহিক। তা তরতর করে এগিয়েই চলেছে। আর এগিয়ে যেতেই যেতেই ৫০০টি পর্ব অতিক্রম করে ফেলল এই ধারাবাহিক। আর তা নিয়ে আবেগঘন সিরিয়ালের রাহুল ওরফে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। প্রায় গোটা টিমের সঙ্গে ছবি শেয়ার লরে তিনি লেখেন, “অনেকে এই ফ্রেমে আছে আবার অনেকে নেই । যেটা আছে সেটা হলো একগাদা ভালোবাসা আর প্রায় আশিটা লোকের টিমওয়ার্ক । ৫০০ টা এপিসোড এই বাজারে চাট্টিখানি কথা নয় বস । এভাবেই এগিয়ে চলুক আমাদের গাঁটছড়া ।” গোটা টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরাও। তবে তাঁদের একটা আফসোস, “ইস যদি খড়িদি (সোলাঙ্কি রায়) থাকত, তাহলে গোটা ফ্রেমটা আরও জমে যেত।”
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ওই ধারাবাহিকের ট্র্যাক বলছে, আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়েছে ঋদ্ধির জীবন। শুধু কি তাই? সিরিয়ালের প্লট বলছে, মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় চরিত্র খড়ি ওরফে শোলাঙ্কি রায়ের। আর তাতেই মুখভার দর্শকদের একটা বড় অংশের। সিনেমায় যে নতুন চরিত্রের আগমন ঘটেছে তাঁদের অনেককেই পছন্দ হচ্ছে না তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জারি। খড়ির সঙ্গেও তুলনা চলছে ‘গাঁটছড়া’র নব্য প্রজন্মের। একজন লিখেছেন, “খড়িকে ছাড়া গাঁটছড়া দেখবই না”। আবার কেউ কেউ ডাক দিয়েছে ধারাবাহিকটি বয়কটের।
কেন হঠাৎ ধারাবাহিক ছাড়লেন সোলাঙ্কি? এ নিয়ে কিছুদিন আগেই টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ” বেশ কয়েকদিন ধরে ভুগছিলাম, কমছিল শরীরের ওজনও। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশ্রামের। তবে মেগা করে কতদিনই বা আর ছুটি নেওয়া যায়? অভিনেত্রী হিসেবেই বিবেক লাগে। চ্যানেলকে জানিয়েছিলাম। বিন্দুমাত্র আপত্তি জানাননি কেউ। সকলেই করেছিলেন সহযোগিতা। তবে একটা ট্র্যাক তো মেনে চলতে হয় সবাইকে। তাই জন্য কয়েকদিন সময় লেগে গেল। এখন আমি কয়েকদিনের জন্য বিশ্রামে থাকতে চাই। শরীরের যত্ন নিতে চাই। তবে সেটা দু-তিন মাসের বেশি নয়। অভিনয় ছাড়া আমার পক্ষে থাকা এক কথায় অসম্ভব। তাই শীঘ্রই ফিরছি। আপাতত শরীরের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।”