হাওয়া বইছিল শনশন করে। সেই হাওয়ায় উড়ছিল অপরাজিতা আঢ্যর খোলা চুল। কমলা হটপ্যান্ট আর সাদা পোশাকে নিজেকে মুড়ে জীবন উপভোগ করছিলেন ষোলোআনা। নাচছিলেন, হাসছিলেন, কখনও আবার ওড়াচ্ছিলেন বালিরাশি। মধ্যবয়স-লোকসমাজ এ সব ভুলে গিয়ে এক পশলা আনন্দে মেতে উঠেছিলেন নিজেই। কিন্তু সব ভাল যার, তার শেষটা ভাল হল না একেবারেই। ‘লক্ষ্মী কাকিমা’কে হটপ্যান্টে দেখে মোটেও ভালভাবে নিলেন না দর্শক। কেউ আখ্যা দিলেন ‘বুড়ি’, কেউ আবার সরাসরি লিখলেন ‘জঘন্য লাগছে’। তবে সবাই যে খারাপ বলেছেন এমনটাও নয়, পাশেও দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ, যদিও সেই সংখ্যাটা নেহাতই সামান্য। বেশিরভাগই একটিই বক্তব্য, “মধ্যবয়সে অপরাজিতে কেন হটপ্যান্ট পরবেন”?
কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অভিনেত্রীর মা। সেই কারণেই এবারের জন্মদিন বাইরে না পালন করে বাড়িতেই ছোটখাটো পরিসরে পালন করেছিলেন অভিনেত্রী। আশা করেছিলেন সুস্থ হয়ে উঠবেন মা। কিন্তু তা আর হয়নি। কিভাবে চলে গেলেন তিনি? টিভিনাইন বাংলাকে অপরাজিতা বলেছিলেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিল মা। শরীরটা কিছুতেই ভাল যাচ্ছিল না। সকালে আমি অ্যাডের শুটে যাব বলে বের হচ্ছি তখন ও বাড়ি থেকে ফোন আসে (বাপের বাড়ি)। জ্বর এসেছিল। তখনই মনটা কু ডাকছিল। সকালে হঠাৎই অক্সিজেন ওঠা নামা শুরু করে। ব্লাড প্রেসার শূন্যতে নেমে যায়। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠতে থাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে ফোনও করি, কিন্তু তার আগেই সব শেষ”। মায়ের মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী। এরই মধ্যে এ হেন কটাক্ষ। অনেকেরই বক্তব্য, “আরও একটু সংবেদনশীলও তো হওয়া যায়।”
ডিজিটাল দুনিয়ায় ট্রোলিং নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উড়ে আসে নানা উটকো মন্তব্য। কেউ উত্তর দেন, কেউ এড়িয়ে যান। এ ক্ষেত্রে অপরাজিতা অবশ্যে বেছে নিয়েছেন দ্বিতীয়টিই। নিজের মতো জীবনকে উপভোগ করতে চান তিনি।