Aparajita Adhya: স্বামী উদাসীন, একার আয়ে সংসার চালানো অপরাজিতাই আসল ‘লক্ষ্মী’
ঘর-বাইরের দায়িত্ব অপরাজিতা আঢ্যের হাতেই। ছেলেকে ঘুম থেকে তোলা থেকে শুরু করে স্বামীর ব্রেকফাস্ট, আবার নিজে তৈরি হয়েই উপার্জনের জন্য বাইরে বের হওয়া-- এ তাঁর নিত্যদিনের ঘটনা।
ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবার। অভাবের সংসার। স্বামী উদাসীন…ঘর-বাইরের দায়িত্ব অপরাজিতা আঢ্যের হাতেই। ছেলেকে ঘুম থেকে তোলা থেকে শুরু করে স্বামীর ব্রেকফাস্ট, আবার নিজে তৈরি হয়েই উপার্জনের জন্য বাইরে বের হওয়া– এ তাঁর নিত্যদিনের ঘটনা। ঠিক যেন পাশের বাড়ির চেনা মানুষটি, যার সঙ্গে আমার আপনার রোজ দেখা হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর পর এমনই এক ধারাবাহিককে সঙ্গী করে ছোট পর্দায় ফেরত আসছেন অপরাজিতা। ধারাবাহিকের নাম, ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। ধারাবাহিকের লক্ষ্মী তিনিই।
মধ্যবয়সী এক মহিলা ওরফে লক্ষ্মীই এই ছবির প্রোটাগনিস্ট। তাঁর এক মুদির দোকান রয়েছে। নাম লক্ষ্মী ভাণ্ডার। স্বামীর ভূমিকায় দেবশঙ্কর হালদার ধারাবাহিকে খারাপ মানুষ নন। গড়পড়তা মধ্যবিত্ত যার কাছে মধ্যবয়সে স্ত্রীর রূপের প্রশংসা নেহাতই বিলাসিতা। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক খারাপ নয়, তবু অপরাজিতা কথায় স্বামী বড্ড উদাসীন। আর লক্ষ্মী? টিভিনাইন বাংলাকে অপরাজিতা বলছিলেন, “লক্ষ্মীর কাঁধেই তো সব দায়িত্ব, শুধু যে সংসারের দায়িত্ব তা কিন্তু নয়। ওর কাছে যারা জিনিস কিনতে শিখে তাঁরাও কিন্তু তাঁদের সংসারের হাজারটা অসুবিধের কথা ওকে এসে বলে, ওর মতামত নেয়। অথচ ওর নিজের সংসারটাই কেমন যেন অগোছালো। কী যেন নেই…”। টিভিনাইন বাংলা আপনাকে অনেক আগেই জানিয়েছিল, অপরাজিতা আবারও ছোট পর্দায় ফেরার পরিকল্পনায় রয়েছেন। নতুন বছরে সেই খবরেই শিলমোহর। প্রোমো বের হয়ে গিয়েছে। শুটিংও শুরু হবে খুব শীঘ্রই।
গুঞ্জন ভেসে আসছিল এই ধারাবাহিকেই নাকি দেখা যেতে পারে, জি-বাংলার ঘরের মেয়ে শ্যামা ওরফে তিয়াসা রায়কে। ‘কৃষ্ণকলি’পর আবারও নাকি এই ধারাবাহিক দিয়েই ইনিংস শুরু করছেন তিনি! খবরে মান্যতা পেতে টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল ধারাবাহিকের প্রযোজক সুশান্ত দাসের সঙ্গে। তিনি যদিও জানান, তিয়াসা এই ধারাবাহিকে থাকছেন না। তবে শীঘ্রই সুশান্ত দাসের প্রযোজনা সংস্থা টেন্ট থেকেই নতুন ধারাবাহিকে লঞ্চ করা হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কিছু ধরেই মোট টিআরপি’র নিরিখে কিছুটা হলেও স্টার জলসার থেকে পিছিয়ে জি-বাংলা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি টিআরপি লক্ষ্মীও ফিরিয়ে নিয়ে আসবে চ্যানেলটিতে। ‘অসম্ভব নয়’…, প্রোমো দেখে প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।