একটা সময় বাংলা সিরিয়ালের দর্শক তাঁকে দেখেছিলেন ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রফুল্ল রূপে। চরিত্রের মধ্যে ‘দুর্গা’ শব্দ ছিল তখনও। তারপর তিনি ‘মোহর’ রূপে আবির্ভুত হলেন বাংলা সিরিয়ালের পর্দায়। এবার তিনি এক্কা দোক্কা ধারাবাহিকের রাধিকা। তিনটে ধারাবাহিকে তিন ধরনের গল্প। প্রথমটি সাহিত্য নির্ভর। অন্য দুটি পারিবারিক এবং মৌলিক। কিন্তু তিনটে চরিত্রের মধ্যেই রয়েছে লড়াকু মনোভাব। এবার একেবারে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে স্টার জলসা চ্যানেলে ধরা দিতে চলেছেন সোনামণি সাহা। এ যাবৎ যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনামণি, তা বেশ অন্য রকম। প্রত্যেকটি চরিত্রই বেশ প্রতিবাদী ধাঁচের। সেই নিরিখে মহিষাসুরমর্দিনীও প্রতিবাদী, অশুভ নিধনের উৎস। সেই মহিষাসুরমর্দিনী রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা একপ্রকার চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রী সোনামণি সাহার কাছে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সোনামণি। দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে। ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে তিনি। মা হোমমেকার। পশ্চিমবঙ্গের মালদা শহরে বড় হয়েছেন। মলদা কলেজ থেকেই লেখাপড়া করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
কেরিয়ারের শুরুতে মডেলিং পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোনামণি। বিভিন্ন ব়্যাম্প শোয়ে অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে। প্রথম ধারাবাহিক ‘দুর্গেশনন্দিনী’র প্রযোজক ছিলেন সুব্রত রায় এবং জয়দেব মণ্ডল। ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোনা। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই প্রথম সম্প্রচার হয় ধারাবাহিক। টেলিভিশনের পর্দায় বড় চরিত্রে সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ হয় তাঁর। তারপর কেরিয়ারে আসে ‘মোহর’। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে। টানা ৪ বছর ধরে সিরিয়াল দুনিয়ায় এক প্রকার রাজত্ব করেছেন তিনি। এই প্রথম দুর্গা পুজো উপলক্ষে স্টার জলসা চ্যানেলের মহিষাসুরমর্দিনী রূপে আত্মপ্রকাশ সোনামণির।