বিয়ের মরশুমে টলিপাড়ার এক অভিনেত্রী বাঁধা পড়লেন সাত পাকে। ২৬ নভেম্বর, ২০২২ বিয়ে করলেন অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আরও একটি পরিচয়, তিনি থিয়েটারকর্মী। ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করেছেন একাধিক। বাংলা সিরিয়াল ‘আলতা ফড়িং’-এ তিনি জমন্যাস্ট ফড়িংয়ের মা রাধারানি নস্কর। যে রাধারানি অবিবাহিত। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ‘রাধারানি’ বিয়ে করেছেন।
শাঁওলি যাঁকে বিয়ে করেছেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ আছে ‘বল্লবপুরের রূপকথা’র। তাঁর নাম প্রতীক দত্ত। দিন কয়েক আগে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘বল্লবপুরের রূপকথা’র স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন তিনি। কীভাবে আলাপ এবং প্রেম, তা নিয়ে TV9 বাংলাকে শাঁওলি বলেছেন, “আমাদের থিয়েটার করতে গিয়েই আলাপ। ২০১৩ সাল থেকে ‘নান্দীপট’-এর হয়ে ‘বল্লবপুরের রূপকথা’ নাটকে কাজ করি আমরা। যদিও তখন থেকে প্রেম নয়। কেবলই আলাপ। প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় অনেক পড়ে। পোস্ট অফিসে চাকরি করে প্রতীক। প্রচুর ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করেছে। অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত এবং অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ় ‘মন্দার’-এর স্ক্রিনপ্লে লিখেছে। অনির্বাণদার প্রথম পরিচালিত ছবি ‘বল্লবপুরের রূপকথা’রও স্ক্রিন প্লে লিখেছে। ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’ নাট্যদলের অধিকাংশ নাটকই ওর অনুবাদ করা। এটা ওর পরিচয়। অনেক বছর ধরেই আমাদের মেলামেশা। সেই সময়টার হিসেব রাখিনি আমরা কেউই। জাস্ট হয়ে গিয়েছে প্রেমটা। এ বছরের শুরুর দিকে ঠিক করেছিলাম বিয়েটা করব বছরের শেষে।”
শাঁওলি-প্রতীকের বিয়ে হয়েছে ছিমছামভাবেই। বাঙালি প্রথা মানা হয়নি। রেজিস্ট্রি হয়েছে কেবল। দমদমের কাছেই দুই শিল্পীর বাড়ি। সেখানেই বসেছিল বিয়ের আসর। সিঁদুর পরানো এবং মালাবদলে চার হাত এক হয় দু’জনের। একদিনের অনুষ্ঠান করেছেন তাঁরা। কাছের বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন অপস্থিত ছিলেন সেই বিয়েতে। কাজের চাপের কারণে এই মুহূর্তে মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছেন না নবদম্পতি। এ ব্যাপারে কিছুই প্ল্যান হয়নি আপাতত। জানিয়েছেন শাঁওলি।
জাঁকজমক করে বিয়ে না হোক, জমিয়ে আইবুড়ো ভাত খেয়েছেন শাঁওলি-প্রতীক। আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জন এবং বন্ধুরা প্রায়ই তাঁদের নানাবিধ পদ খাইয়েছেন। শাঁওলি প্রতীকও শেয়ার করেছেন সব ছবি।