Serial Shooting: তাপপ্রবাহেও চলছে শুটিং, সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন ধারাবাহিকের শিল্পীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 20, 2023 | 4:44 PM

Bangla Serial: ৪০ পার করেছে তাপমাত্রার পারদ। তারই মাঝে রমরমিয়ে চলছে বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং। চলছে আউটডোরও। যাঁরা দস্তুর মতো এই আবহাওয়াতেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কী অবস্থা, তাঁদের কী বক্তব্য, শুনল TV9 বাংলা। 

Serial Shooting: তাপপ্রবাহেও চলছে শুটিং, সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন ধারাবাহিকের শিল্পীরা

Follow Us

৪০ পার করেছে তাপমাত্রার পারদ। তারই মাঝে রমরমিয়ে চলছে বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং। চলছে আউটডোরও। সম্প্রতি শিল্পীদের স্বার্থে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ম লাঘু করার প্রস্তাব এনেছে ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। তবে যাঁরা দস্তুর মতো এই আবহাওয়াতেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কী অবস্থা, তাঁদের কী বক্তব্য, শুনল TV9 বাংলা।

দিব্যজ্যোতি দত্ত (অনুরাগের ছোঁয়া): সত্যি এবার গরম খুব বেশি। প্রতিবছরই এই সময়টা কাজ করতে কষ্ট হয়। তবে আমি বলব, আমার থেকে আমাদের আগের জেনারেশন অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন। তখন তো এত সুবিধে ছিল না। এখন তাও এসি থাকে, আমাদের অনেকবেশি যত্নে রাখা হয়। তবে আগে যেমন টানা আউটডোর হত, দেবদ্যুত দা, রুপাঞ্জনা দি, এঁরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। তবে এখন কি আউটডোর হয় না? হয়। আমাদের ভিলেন (অনিন্দ পুলক) টানা রোদে শুট করেছেন এই পরশু দিন।

রোদে কাজ করলে ব্যবস্থা একটু সচেতন থাকা জরুরী। জল, ফল এগুলো খেতে হবে। তবে আমার মনে হয় আমাদের অর্থাৎ পুরুষদের থেকে মেয়েদের সমস্যা বেশি। আমাদের কলটাইমের দেড়ঘণ্টা আগে ওদের ডাকা হয়। মেকআপ, শাড়ি, গয়না, চুল… আর সবটা সারাদিন ক্যারি করা। অনেক ছেলেরাই মেকআপ করেন না। আমিও কিছুদিন হল মেকআপ এড়িয়ে চলছি।

অঙ্কিতা মল্লিক (জগদ্ধাত্রী): প্রচন্ড গরমের মধ্যে শুটিং চলছে। আমাদের ধারাবাহিকের বিষয়টা তো কেবল ঘরোয়া নয়। বাইরেও সমানতালে শুট চলে। আমাদের এখন বিয়েবাড়ি সিক্যোয়েন্সের জন্য ভারী মেকআপ করতে হচ্ছে। দর্শকদের জন্য করতে ভালই লাগে। তবে এই সময় কেবল অভিনয় নয়, যে যেকোনও ক্ষেত্রেই কাজ করুক না কেন, এই রোদে যাঁদের থাকতে হচ্ছে তাঁদের জন্য কষ্টেরই। আউটডোর যখন শুট করি তখন তো আর সবটা চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তাই এই সময় চেষ্টা করি হালকা খাওয়ার খাওয়া, জল পান করা এগুলো মাথায় রাখি। একটা কথা বলতে পারি কোনও প্রযোজনা সংস্থাই চাইবে না যে তাঁর অভিনেতা-অভিনেত্রী অসুস্থ হোক। ফলে যতটা সম্ভব ওরা কম্ফোর্ট দেওয়া চেষ্টা করে।

বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় (গৌরী এলো): এ যা ভয়ানক গরম। আমার তো পুরোটাই আউটডোর। সত্যি বলতে মুখ খুব জ্বালা করে। যাতে তাপটা না গায়ে লাগে সেই দিকে নজর দেওয়া। বেশই করে জল পান করছি। তবুও তো আমরা বিশ্রাম পাই মাঝে মধ্যে, টেকনিশিয়ানদের বিষয়টা ভাবুন তো। ভীষণ কষ্টের-ভীষণ কষ্টের। শুনছি এটা কন্ট্রোল করার জন্য কিছু কথাবার্তা চলছে, তবে তার আগেই কালবৈশাখী আসছে। ওই আশায় রয়েছি।

দেবযানী চট্টোপাধ্যায়: ধারাবাহিক থেকে খানিক বিরতিতে তিনি। তবে দীর্ঘদিন তিনি ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর কথায়, আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন এত সুযোগ সুবিধে ছিল না। এখন তবুও অনেকটাই কষ্ট কম হয়। আমাদের সময় এসির কথা ভাবাউই যেত না। গরমের মধ্যে কাজ হত। তবে গরমে কাজ করাটা সত্যি কষ্টের তবুও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মাঝে মধ্যে মেকআপ রুমে গিয়ে বসতে পারে। সব মেকআপ রুম গুলোই এ এসি। তবে টেকনিশিয়ানদের কষ্টটা বড্ড বেশি। তাঁরা একটু বসার সময়টুকুও পান না।

 

Next Article