এক দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হয়েছিল পথ চলা আর এক দুর্গাপুজো দিয়ে শেষ হচ্ছে জার্নি। স্বরূপনগরে (পড়ুন, দেশের মাটির সেটে) এখন বিষাদের আমজে। ঠিক যেন দশমী। কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। পুরনোর জায়গা দখল করে নেয় নতুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় প্লট। শেষ হয় ধারাবাহিক।
এই মাসেই শেষ হচ্ছে স্টার জলসার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক দেশের মাটি। কম টিআরপি’ই এর কারণই কিনা সে বিষয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ নীরব। কিন্তু সেটের কর্মীরা সত্যকে মেনে নিয়েছেন। বলা ভাল নিতে হয়েছে। তবে মন খারাপ ছড়িয়ে রয়েছে গোটা সেট জুড়ে। ধারাবাহিকের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্রুতি দাস ওরফে নোয়াকে টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলেই তিনি বলেন, “কেন শেষ হচ্ছে তা তো জানি না, কিন্তু সিদ্ধান্ত মেনে নিতেই হয়। মন খারাপ সকলেরই। এক একটা দৃশ্য শেষ হচ্ছে আর সেট জুড়ে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যাচ্ছে।”
ধারাবাহিকটি নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কখনও শ্রুতির গায়ের রঙ নিয়ে তির্যক মন্তব্য আবার কখনও বা ধারাবাহিকের অপর দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র রাহুল ও রুকমাকে কম প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ– বারেবারেই উঠে এসেছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে। তবে এ সবই নেটিজেনদের চর্চা। শো’র অন্দর ছিল গোটা পরিবারের মতোই। শ্রুতির মনে পড়ছে অফটাইমে উনো খেলার কথা। মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটখাটো খুনসুটি, হাসি-মজা আনন্দের কথা। বলছিলেন, “আমার এটি দ্বিতীয় ধারাবাহিক। এত বড় বড় অভিনেতারা রয়েছেন এই ধারাবাহিকে। কোনওদিন মনেই হয়নি আমি তাঁদের চেয়ে অনেক জুনিয়র। এমনভাবেই গুরুত্ব দিয়েছে ওঁরা। একটা ভীষণ ভাল বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। মাফিয়া বলে একটা খেলা রয়েছে। সেটাও শিখেছি সেটে বসে বসে।”
এর পরে কী? ধারাবাহিক নাকি ওয়েব অথবা বড় পর্দা। শ্রুতি জানালেন, ধারাবাহিকে যে ভালবাসা তিনি পেয়েছেন তা হারাতে চান না। ধারাবাহিক করবেন তবে তারই ফাঁকে ওটিটি বা বড় পর্দার অফার যদি পান তবে মন্দ কী?
৩১ অক্টোবর শেষ সম্প্রচার হবে এই ধারাবাহিকের। এর পরেই স্লট দখল করবে অন্য এক নতুন ধারাবাহিক, ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি। গত বছর ধারাবাহিকের প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হচ্ছেন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা স্বরূপনগরের ওই বাড়ির সদস্যরা। যতদূ্র জানা যাচ্ছে, হ্যাপি এন্ডিং দিয়েই শেষ হবে ধারাবাহিকের প্লট। প্লটে হ্যাপি এন্ডিং হলেও মন খারাপ ওঁদের… স্বরূপনগরের বাসিন্দাদের আজ চোখে জল।