Pallavi Sharma: আইসিএসসির সকালে প্রয়াত বাবা, টিফিনে হবিষ্যি নিয়ে পরীক্ষার হলে পল্লবী শর্মা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

Oct 31, 2022 | 4:29 PM

Tollywood Struggle: পল্লবীর কেউ নেই। বাবা-মা কেউ না। নেই মানের মানুষও। অভিনেত্রীর অনুরোধ, কেউ যেন তাঁকে করুণা না করেন...

Pallavi Sharma: আইসিএসসির সকালে প্রয়াত বাবা, টিফিনে হবিষ্যি নিয়ে পরীক্ষার হলে পল্লবী শর্মা
পল্লবী শর্মা...

Follow Us

মানুষের জীবন ভারী বিচিত্র। সকলের লড়াই আলাদা। তাও মানুষের মুখে লেগে থাকে হাসি। লড়াই করেন তাঁরা। এবং জিতে যান। কেমনভাবে জোর পান? সেই কাহিনিই হয়ে ওঠে অনুপ্রেরণার গল্প। যেমন অনুপ্রেরণা দিতে পারেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা। বাংলা টিভি সিরিয়ালের এই অভিনেত্রীকে এখনও সকলে চেনেন ‘জবা’ নামে। ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের জবা! জীবনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়কে জয় করে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন এই বঙ্গতনয়া। তিনকুলে কেউ নেই তাঁর… বাবা-মা নেই, নেই কাছের মানুষো। তিনি সম্পূর্ণ একা। একাকী জীবনে দোস্তি করেছেন কেবল নিজের সঙ্গে। একটি ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মে এসে তিনি বলেছেন অনুপ্রেরণার গল্প।

ক্লাস ফাইভে পরার সময় মাকে হারিয়েছিলেন পল্লবী। কঠিন অসুখ করেছিল তাঁর মায়ের। মা অন্তঃপ্রাণ ছিল মেয়েটা। মাকে ছাড়া থাকতে পারতেন না। ঘুমতে পারতেন না। চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর অসুস্থ মাকে। পাশের বাড়ির এক মহিলার কাছে রেখে যাওয়া হয়েছিল পল্লবীকে। তারপর মা আর তাঁর কাছে ফিরে আসেননি। বাবা ও দাদা বাইরে-বাইরে ঘুরতেন ব্যবসার কাজের জন্য। পল্লবী তখনও সেই মহিলার বাড়িতেই। দশম শ্রেণির আইসিএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগের দিন বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান। পরীক্ষার দিন সকালে খারাপ খবর আসে, তাঁর বাবাও মারা গিয়েছেন। সেদিন সকলে তাঁকে পরীক্ষা দিতে যেতে মানা করেছিলেন। কিন্তু হার মানার মেয়ে পল্লীব নন। তাই বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপেই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন।

… অন্যান্য সহপাঠীদের বাবা-মায়ের পরীক্ষার সময় ডাবের জল, টিফিন নিয়ে যেতেন। লড়াকু ‘জবা’ টিফিনে হবিষ্যি নিয়ে গিয়ে খেয়েছেন। তারপর ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করেন আইসিএসসি। তার আগেই অবশ্য সিরিয়ালে সুযোগ পেয়েছিলেন কাজের। তিন মাসের একটি কাজও করেছিলেন।

বাবা-মা হারা মেয়েকে কেন কেউ বাড়িতে রাখতে চাইবে। আত্মীয়স্বজন প্রত্যেকে বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিল পল্লবীর। কিন্তু পল্লবী রাজি ছিলেন না। লেখাপড়া শেষ করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। নতুন করে সিরিয়ালের কাজে আবার ঢুকে যান তিনি। আস্তে-আস্তে লেখাপড়াও শুরু করেন। সবটা সুন্দর করেই সামাল দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। এখন তিনি বাড়ি কিনেছেন। একাই থাকেন। নিজের শর্তে বাঁচেন। তবে সকলের কাছে তিনি একটাই অনুরোধ করেছেন, তাঁর এই কথাগুলো শুনে কেউ যেন তাঁকে করুণা না করেন…

‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকটি চলেছে টানা চার বছর। ২০২২ সালের শুরুতে শেষ হয়েছে। কিছুদিনের বিরতির পর ফের নতুন সিরিয়ালে কাজ করতে চলেছেন পল্লবী। সেই সিরিয়ালের নাম ‘নিম ফুলের মধু’।

Next Article