সুখবর দিলেন দুই কমেডিয়ান, তথা দম্পতি ভারতী সিং এবং হর্ষ লিম্বাচিয়া। নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করলেন তাঁরা। নাম দিয়েছেন ভারতী টিভি।
ভারতী কমেডিয়ান, সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রীও বটে। অন্যদিকে হর্ষ নিজে লেখেন প্রযোজনাও করেন। তাঁদের দুজনের ভাবনার ফসল এই ইউটিউব চ্যানেল। প্রচুর কমেডি শোয়ের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। যা দেখা যাবে এই নতুন চ্যানেলে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কোনও সময় দর্শক দেখতে পারবেন এই চ্যানেলের সব অনুষ্ঠান। দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান গেম শো দিয়ে নাকি এই চ্যানেলের যাত্রা শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে ভারতী বলেন, “আমি এবং হর্ষ দুজনেই টেলিভিশনে এবং বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি। আমাদের কিছু নিজস্ব দর্শক রয়েছেন, যাঁরা প্রতিদিন আমাদের দেখতে চান। টেলিভিশনে নির্দিষ্ট শোয়ের নির্দিষ্ট সময় থাকে। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলে আমাদের অনুষ্ঠান যে কোনও সময় দেখতে পারবেন দর্শক।”
ভারতী আরও জানান, টেলিভিশনে কাজের ক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। নিজেদের চ্যানেলে কাজ করার সময় সেই বাধায় পড়েননি তাঁরা। দর্শকের পছন্দ অনুযায়ী, যে অনুষ্ঠান পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দেখা যায়, তেমনই তাঁরা উপহার দেবেন বলে দাবি করেছেন ভারতী। ২০১৭-এ বিয়ে করেন হর্ষ এবং ভারতী। তারপর থেকে তাঁর জীবন নাকি একেবারে বদলে গিয়েছে। এ বার ধীরে ধীরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন বলেও জানান ভারতী। সদ্য এক ধাক্কায় ১৫ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ভারতী নাকি ইন্টারমিটেট ফাস্টিং অনুসরণ করেছিলেন। আর তাতেই এই ফল পেয়েছেন। ওজন বেশি থাকায় তাঁর বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও ছিল। কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলার পর নাকি আগের থেকে তিনি অনেকটাই ভাল আছেন। ৯১ কিলোগ্রাম থেকে কমিয়ে নিজের ওজন আপাতত ৭৬-এ নিয়ে এসেছেন তিনি।
ভারতীর কথায়, “আগে আমার শ্বাস নিতে সমস্যা হত। এখন আর সমস্যা হয় না। হালকা লাগে। আমার ডায়াবেটিস আর অ্যাজমা এখন কন্ট্রোলে রয়েছে।” কিন্তু কী ভাবে এই পরিবর্তন সম্ভব হল? ভারতী শেয়ার করেছেন, “সন্ধে সাতটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমি কিছু খাই না। সন্ধে সাতটার আগে রাতের খাবার খেয়ে নিই। ৩০-৩২ বছর অনেক খাবার খেয়েছি। এ বার আমার শরীরের কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন।” ওজন কমিয়ে ফেলতে পেরে নিজের জন্য গর্বিত ভারতী।
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে ভারতী জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে যখন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি, তখন এতটা পারিশ্রমিক কমিয়ে কাজ করতে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন ভারতী। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি। শোয়ের প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে নতুন নিয়মে রাজি হতে হয় তাঁকে। সে কারণেই আরও নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খোলার তাগিদ অনুভব করলেন কি না, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন, জন্মের চার মাস পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরল দিয়ার সন্তান!