বাংলা সিরিয়ালের গল্প অনুযায়ী গ্রামের অল্প শিক্ষিত মেয়ের শহুরে বড়লোক পরিবারে হঠাৎ বিয়ে হয়ে আসা নতুন কিছু নয়। ৭০ শতাংশ গল্পের এটাই ধারা। সেই গ্রাম্য মেয়ের হঠাৎ উচ্চ শিক্ষিতা হয়ে ওঠাও নতুন কিছু নয়। ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের কথাই প্রথমে বলতে হয় তা হলে। বাড়ির কাজের মেয়ে জবা লাঞ্ছিতা থেকে আইনজীবী হল, তারপর এক্কেবারে বিচারপতির চেয়ারে গিয়ে বসল। একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ‘গোধূলি আলাপ’ ধারাবাহিকে। গ্রামের লেখাপড়া প্রায় কিচ্ছু না জানা মেয়ে নোলক নাকি এবার আইনজীবী হবে তাঁর স্বামীর মতো। হ্যাঁ, তেমনটাই জানা গিয়েছে।
নোলকের স্বামী অরিন্দমের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন কয়েকদিনের মাত্র। অরিন্দমের প্রায় হাঁটুর বয়সি নোলক। সিরিয়াল শুরুর সময় প্রোমোতে অরিন্দমকে ‘কাকু’ সম্বোধন করেছিল মেয়েটা। তারপর তারই সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দেখে আলোচনাও হয়েছিল বিস্তর। আসলে মা-মাসিদের জন্য তৈরি বাংলা সিরিয়ালে এটা একটু সাহসী টপিক। অসমবয়সি বিয়ে বিষয়টা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে আগে থেকে আশঙ্কা করেছিলেন নির্মাতারা। নতুন কিছু করে দেখানোর জেদ ছিল বলেই এই ঝুঁকি তাঁরা নিয়েছিলেন। অল্পদিনের মধ্য়েই লোকে প্রশংসা করেছিল এই ধারাবাহিকের। এবার গল্পে নতুন মোড় আসতে চলেছে।
বাংলা সিরিয়ালে খলনায়িকা থাকবে, সেটা একপ্রকার অবিশ্বাস্য ব্যাপার। নোলকের উকিলদিদি রোহিনীর অরিন্দমকে না পাওয়ার একটা যন্ত্রণা থেকেই সে নানাবিধ কুকর্ম করেছে। নোলককে সে কিছুতেই টিকতে দেবে না সংসারে। অরিন্দমের ছোট ভাইকে বিয়ে করে সে পরিবারে প্রবেশ করে চুপিসারে প্রতিশোধ নিচ্ছে। কোত্থেকে অরিন্দমের মিথ্য়া প্রেমিকা ও তাঁর সাজানো মেয়েকে সাজিয়ে এনেছে। প্রমাণও করেছে এরাই অরিন্দমের পরিবার। এই কারণে বিয়ে ভেঙেছে অরিন্দম-নোলকের। দর্শকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিয়েটা ভাঙল যখন সিরিয়াল কি শেষ?
তা কি কখনও হতে পারে! চিত্রনাট্যকারের গল্প সাজানো অন্যভাবে। আসলে গল্পে এসেছে নতুন মোড়। চ্যানেল থেকে পোস্ট করা একটি পোস্টারে দেখা যাচ্ছে নোলকের পরনে আইনজীবীর পোশাক। তা হলে সত্যের পথে হাঁটা দাপুটে ‘নতুন’ নোলকই মোড় ঘোরাবে ‘গোধূলি আলাপ’-এর। সে কি অরিন্দমের চেয়েও সুনাম অর্জন করবে? সে কি নিজের জীবনের সুবিচার নিজেই করতে পারবে? বলবে পরবর্তী পর্ব।