বর্তমানে ট্র্যাক বদল ঘটেছে গাঁটছড়া ধারাবাহিকের। খড়ি নেই। পাল্টে গিয়েছে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সমীকরণই। ছোটরা বড় হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে দায়িত্বও বেড়েছে ঋদ্ধির। অর্থাৎ গৌরব চট্টোপাধ্যায়। যিনি এই ধারাবাহিকের অন্যতম কাণ্ডারি। এই সময় ছুটি একেবারেই পেলেন না তিনি। সদ্য শোলাঙ্কি রায় সরে গিয়েছেন ধারাবাহিক থেকে। এখন ঋদ্ধিকে পর্দায় না দেখতে পেলে বেজায় মন খারাপ হবে ভক্তদের। ফলে তাঁকে ধরেই রাখল চ্যালেন। তাই একাই পরিবারকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন দেবলীনা কুমার। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন ছবি।
মায়ের জন্মদিন বলে কথা। তবে তাঁর বরকে তাঁর থেকে বেশি মিস করছেন তাঁর মা। সেটাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে ভুললেন না তিনি। জঙ্গল সাফারির ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখলেন, ”দু-দিনের জন্য ছোট্ট করে ডুয়ার্স সফর। উপলক্ষ্য মায়ের জন্মদিন পালন। শান্তির জায়গা। রেস্ট নেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। মাঝে একটু গরুমারা সাফারি।”
এখানেই শেষ নয়, ”তিনি আরও লিখলেন, আমি শুটিং থেকে ৩ দিনের ছুটি পেয়েছিলাম। বর পায়নি। তার শাশুরিমা সব থেকে বেশি তাঁকে মিস করেছে। হাতে সময় অল্প, বাজেট একটু সীমিত। চট করে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গ থেকে। আনন্দ পাবেন।”
দিলেন ট্রিপের উপদেশও। গৌরবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ বেশ মজবুত। তবে শুরুটায় মোটেও এমন ছিল না। উত্তম কুমারের নাতি বলে কথা, গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে কি হাতের মুঠোয় পাওয়া এতটা সহজ! বোধহয় না। এমনটাই ভেবেছিলেন প্রথম দেখার পর অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। গৌরব চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল আগে থেকেই। তিনি গৌরবের বোন, গৌরবের পরিবারের অনেককেই চিনতেন। কিন্তু পথ চলতে দেখা হওয়া গোমরা মুখো ছেলেটির সঙ্গে কখনও কথা বলে উঠতে পারতেন না তিনি। ভাবতেন গৌরভ বেজায় রাগি। যদিও সে কথা এখন আর মানতে রাজি নন তিনি। কারণ একটাই, প্রথম আলাপের পর থেকেই তিনি বুঝেছিলেন গৌরব আর পাঁচজনের মতো ভীষণ সাধারন ভীষণ স্বাভাবিক।