বাঙালি অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্যের জীবনে খারাপ খবর। কাছের মানুষকে হারালেন অভিনেত্রী। যার সান্নিধ্যে কেটেছে ছেলেবেলা, যে হাতে করে খাইয়ে দিয়েছে তাঁকে, সেই মানুষটিই আজ আর নেই। দেবলীনার ঠাকুমা প্রয়াত হয়েছেন। ঠাকুমার সঙ্গে এক মিষ্টি ছবি শেয়ার করে সে কথাই জানিয়েছেন টেলিভিশনের ‘গোপী বহু’। বাঙালি হলেও দেবলীনার জন্ম অসমে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে তাঁর মাতৃভাষা অসমিয়া। আর সেই কারণেই ঠাকুমার প্রয়াণে অসমিয়া ভাষায় তিনি করেছেন স্মৃতিচারণ। দেবলীনা যা লিখেছেন তা বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “আমার প্রিয় ঠাকুমা, আমি সারাজীবন তোমাকেই ভালবেসেছিম সেটা তুমি নিজেও জানো। সব কিছু মিস করব। তোমার হাতের বানানো ওই লাড্ডু, তোমার হাতের আচারের স্বাদ এখনও আমার মুখে লেগে আছে। ৯৪ বছর পর্যন্ত তুমি এই পৃথিবীতে ছিলেন। আমাদেরকে ভালবেসেছ, আমাদের খেয়াল রেখেছ। তোমার আশীর্বাদেই আজ আমি এখানে। তোমার ভীষণ মিস করব।” এই কঠিন সময়ে প্রিয় ‘দেবো’র পাশে থাকার অঙ্গীকার তাঁর প্রিয়জনদের। তিনি যাতে দ্রুত এই সময় কাটিয়ে ওঠেন, এই প্রার্থনাই করেছেন তাঁরা।
গত বছরের শেষের দিকে দেবলীনা ভট্টাচার্য বিয়ে করেন। তাঁর স্বামী শানওয়াজ শেখ আদপে তাঁর জিম ট্রেনার। শানওয়াজকে বিয়ের পর থেকে নানা ভাবে ট্রোল হতে হয় তাঁক। অভিযোগ ওঠে, বিয়েতে নাকি এক পয়সাও দেননি শানওয়াজ। শুধু কি তাই? শানওয়াজ কেমন দেখতে তা নিয়েও চলে বিস্তর কাটাছেঁড়া। তাঁর ধর্ম উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিছু দিন আগে ইনস্টাগ্রামে জনৈক ব্যবহারকারী তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাঁদের সন্তানের ধর্ম পরিচয় কী হবে? সে কি হিন্দু হবে নাকি মুসলিম?
দেবলীনাও দিয়েছিলেন মোক্ষম জবাব। তিনি বলেন, “যদি এতটাই বাচ্চা ভাল বেসে থাকেন তবে কোনও অনাথআশ্রম গিয়ে কাউকে দত্তক নিন। তারপর না হয় তাঁদের ধর্ম কী, সে বিষয়ে মতামত দেবেন। অনেক তো অনাথআশ্রম রয়েছে। আমার স্বামী, আমার সন্তান, আমার ধর্ম, তুমি কে হে?” যদিও এই পুরো সময়টা দেবলীনা তাঁর পাশেই ছিলেন। ট্রোলের জবাবও দেন কড়াভাবে। ট্রোলিং, কটাক্ষ কাটিয়ে উঠছিলেন, কিন্তু সেই সময়েই আরও এক বিপর্যয়ের খবর। তিনি দ্রুত কাটিয়ে উঠুক–চাইছেন সকলেই।