উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক হাজির হয়েছিলেন দক্ষিণ বারাসাতে। সেখানকার বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে হাসনাবাদে মেলাতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনাও জানিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু উপহারের বেলায় এ কী! মেমেন্টো হিসেবে তাঁর হাতে যা বাক্সভর্তি যা ধরানো হল তা দেখে তাজ্জব কাঞ্চনও। শেয়ার করে নিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে সাদা রঙের একটি পেল্লাই বাক্স। কাঞ্চন তা খুলতেই প্রথম তাকে তাজা ট্যাংরা মাছ। এখানেই কি শেষ? নিজের থাকে সাজানো সারি সারি গলদা চিংড়ি। পেল্লাই সাইজের এক ভেটকি মাছও। কাঞ্চনের রসিকতা, “ভাববেন না ওটা হাঙর বা কুমীর”। রয়েছে আরও, ভোলাসহ আরও নানা বাহারি মাছ দিয়েই সাজানো ওই বাক্স। উপহার হিসেবে টাটকা মাছ পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। কাঞ্চনের ভক্তরাও বেশ উত্তেজিত। অনেকেই আবার দাবি জানিয়েছেন, বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানানোর। ওদিকে নিন্দুকের খোঁচা, “এতদিন বিধায়ক-বিধায়ক বক্স চালাচালিতে টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে এবার পাওয়া গেল মাছ। মন্দ কী?”
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত বছর শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল টলিউড। উত্তরপাড়ার সাংসদের স্ত্রী পিঙ্কি স্বামীর বিরুদ্ধে এনেছিলেন বিস্ফোরক কিছু অভিযোগ। যদিও শ্রীময়ী এ কথা মানতে চাননি তখনও। মানতে চাননি কাঞ্চনও। সব মিলিয়ে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছিল সম্পর্কের সমীকরণ। এরই মধ্যে কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কির সঙ্গে দেখা করতে শ্রীময়ী-কাঞ্চন গিয়েছিলেন চেতলার সবুজ বাগান লেনে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানেই বচসায় জড়ান তাঁরা, যা গড়িয়েছিল থানা পর্যন্ত। পিঙ্কি অভিযোগ করেছিলেন গাড়ি আটকে তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে হুমকি দিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। অন্যদিকে কাঞ্চন পাল্টা থানায় পিঙ্কির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে দাবি করেছিলেন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘হেনস্থা করেছেন।’ টিভিনাইন বাংলাকে সে সময় কাঞ্চন বলেছিলেন, “মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। কোথাও বেরনোর মুখ নেই। আমার এ বার ভয় লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কী জবাব দেব?”তবে আপাতত জল থিতিয়েছে কিছুটা। সম্প্রতি এক ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেখানে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।