Meyebela Serial: ‘রূপাদি’কে নিজেই ফোন করি, উনি বললেন…’, মুখ খুললেন অনুশ্রী দাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

May 14, 2023 | 12:16 PM

Meyebela Serial: দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা স্টুডিয়ো। তাতেই শুটিং হচ্ছে 'মেয়েবেলা'। টিআরপিতে প্রথম পাঁচে না থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহে বিতর্কে এই ধারাবাহিক দখল করেছে শিরোনাম। নতুন বীথিমাসি অনুশ্রী দাস কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারলেন সেটে?

Follow Us

 

 

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

 

দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা স্টুডিয়ো। তাতেই শুটিং হচ্ছে ‘মেয়েবেলা’। টিআরপিতে প্রথম পাঁচে না থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহে বিতর্কে এই ধারাবাহিক দখল করেছে শিরোনাম। নতুন বীথিমাসি অনুশ্রী দাস কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারলেন সেটে? সেই উত্তর খুঁজতেই টিভিনাইন বাংলা হাজির হয়েছিল ওই সেটেই। চলছিল লাঞ্চ ব্রেক, অনুশ্রী এলেন। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েও নাকি তাঁর বুক দুরুদুরু! পাশে দেবিকা মুখোপাধ্যায় মানে সিরিয়ালটির চিত্রনাট্যকার… শুরু হল সাক্ষাৎকার। উঠে এল অনেক কিছুই…

এখনও সাক্ষাৎকারে আপনি ভয় পান?

(শিশুসুলভ হাসি…) কী যে বলব… বুঝতে পারছিলাম না। ওই জন্যই তো দেরি করে নামলাম একটু।

একজন মানুষ যাকে খুব একটা বিতর্ক স্পর্শ করেনি, তিনিই একটি বিতর্কিত ধারাবাহিকে!

বিতর্ক স্পর্শ করেনি?

করেছে কী?

আমাদের তো কিছু ছুঁতে লাগে না। হয়ে যায় বিতর্ক। পরে যদিও বদলে যায় সেই বিতর্কের আবহাওয়া।

আর এই সেটের আবহাওয়া? কী বুঝছেন?

দেখুন মন রেখে কথা বলে আমার খুব একটা লাভ হবে না। দিনের শেষে মন দিয়ে কাজটাই করতে হবে। এত পজেটিভ একটা ভাইবস আছে। আমাদের পরিচালক-সহ পরিচালক আর দেবিকাদি যিনি লিখছেন… যিনি আমাকে এ থেকে জেড সবটা বোঝাচ্ছেন। মারাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি। এবার এই সহযোগিতা পাওয়ার পরেও যদি ধ্যাড়াই, তবে সেটা আমার দোষ।

 

একজন সিনিয়র অভিনেত্রী একটি ধারাবাহিক ছেড়ে দিলেন অন্য এক অভিনেত্রী মাঝপথে সেই ধারাবাহিক করতে এলেন, কোথাও গিয়ে মনে হয়নি, কেন করব?

প্রথমত, তো বলেছিলাম ও বাবা! তখন আমি যাত্রা করি,ছেলের পার্ট করি… ৯ বছর বয়স… আর রূপা দি কাঁপিয়ে দ্রৌপদীতে অভিনয় করছেন… সেই মানুষটার পরিবর্তে আমি! দর্শকের চোখ সেট হওয়ারও তো একটা ব্যাপার থাকে! আমারও এই ভয়টা ছিল… এখনও আছে …

তারপর?

তারপর আমি নিজেই রূপাদিকে ফোন করলাম। কারণ, সি ইজ রূপা গাঙ্গুলি। জিজ্ঞাসা করলাম, রূপাদি, তুমি কি আর একবার ভাববে? উনি জানিয়ে দিলেন যে না…আমাকে লিখলেন, “লাভ ইউ বাবু”। আমিও উত্তর দিলাম, “লাভ ইউ টু”… ব্যস শুরু হল আমার জার্নি।

 

 

প্রথম যেদিন সেটে এলেন, সবার আচরণ কেমন ছিল?

(এক চোট হাসি) আমি সমানে ভেবে চলেছি, আমাকে বুঝি কেউ মানতে পারছে না। ভাবছি ডোডো-মৌ কেউই আমায় ঠিক নিতে পারছে না… ভিতরে শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। দেখছি, স্বীকৃতি দূরে দাঁড়িয়ে… টেনে ওকে নিয়ে আসি… তবে পরে বুঝলাম… এ সব কিচ্ছু না। সবই আমার ভাবনা। এসব কিছুই নয়।

 

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, চিত্রনাট্যে শুধুই নির্যাতন… আপনি সহমত?

কোনও চিত্রনাট্য কি এক কথায় রিগ্রেসিভ হতে পারে?

যদি বীথিকা মিত্রের চরিত্রটার কথাই শুধু বলা যায়? বধূ নির্যাতন করে চলেছেন … রিগ্রেসিভ নন?

রিগ্রেসিভ আমি বলব না। ভীষণ ভাবে কঠিন একজন মানুষ। যার মধ্যে অনেক শেডস আছে। অনেক স্তর আছে। সেটা ভেবে করাটাও কিন্তু খুব চাপের। কেউ কী একটা কথা বলেছেন, সেটার সূত্র টেনে এনে রিগ্রেসিভ বলে কিন্তু লাভ হবে না।

দর্শকেরা অনেকেই বলছেন নতুন বীথিমাসিকে তাঁরা দেখতে চান না, তাঁদের কী বলবেন? 

দেখুন, আমি চেষ্টা করব… আমি চেষ্টা করব আপনাদের ভালবাসা পেতে। যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ভালবাসা দেবেন। একটা কথা বলতে চাই, অনেকের হয়ে… আমাদের যিনি লেখিকা (দেবিকা মুখোপাধ্যায়) তিনি একেবারে যোগ্য এই ভালবাসাটুকু পাওয়ার। এর পরের দায়িত্বটা তো আমাদের। সেই দায়িত্বই বড় কঠিন। দেখা যাক কী হয়।

 

 

 

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

 

দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা স্টুডিয়ো। তাতেই শুটিং হচ্ছে ‘মেয়েবেলা’। টিআরপিতে প্রথম পাঁচে না থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহে বিতর্কে এই ধারাবাহিক দখল করেছে শিরোনাম। নতুন বীথিমাসি অনুশ্রী দাস কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারলেন সেটে? সেই উত্তর খুঁজতেই টিভিনাইন বাংলা হাজির হয়েছিল ওই সেটেই। চলছিল লাঞ্চ ব্রেক, অনুশ্রী এলেন। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েও নাকি তাঁর বুক দুরুদুরু! পাশে দেবিকা মুখোপাধ্যায় মানে সিরিয়ালটির চিত্রনাট্যকার… শুরু হল সাক্ষাৎকার। উঠে এল অনেক কিছুই…

এখনও সাক্ষাৎকারে আপনি ভয় পান?

(শিশুসুলভ হাসি…) কী যে বলব… বুঝতে পারছিলাম না। ওই জন্যই তো দেরি করে নামলাম একটু।

একজন মানুষ যাকে খুব একটা বিতর্ক স্পর্শ করেনি, তিনিই একটি বিতর্কিত ধারাবাহিকে!

বিতর্ক স্পর্শ করেনি?

করেছে কী?

আমাদের তো কিছু ছুঁতে লাগে না। হয়ে যায় বিতর্ক। পরে যদিও বদলে যায় সেই বিতর্কের আবহাওয়া।

আর এই সেটের আবহাওয়া? কী বুঝছেন?

দেখুন মন রেখে কথা বলে আমার খুব একটা লাভ হবে না। দিনের শেষে মন দিয়ে কাজটাই করতে হবে। এত পজেটিভ একটা ভাইবস আছে। আমাদের পরিচালক-সহ পরিচালক আর দেবিকাদি যিনি লিখছেন… যিনি আমাকে এ থেকে জেড সবটা বোঝাচ্ছেন। মারাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি। এবার এই সহযোগিতা পাওয়ার পরেও যদি ধ্যাড়াই, তবে সেটা আমার দোষ।

 

একজন সিনিয়র অভিনেত্রী একটি ধারাবাহিক ছেড়ে দিলেন অন্য এক অভিনেত্রী মাঝপথে সেই ধারাবাহিক করতে এলেন, কোথাও গিয়ে মনে হয়নি, কেন করব?

প্রথমত, তো বলেছিলাম ও বাবা! তখন আমি যাত্রা করি,ছেলের পার্ট করি… ৯ বছর বয়স… আর রূপা দি কাঁপিয়ে দ্রৌপদীতে অভিনয় করছেন… সেই মানুষটার পরিবর্তে আমি! দর্শকের চোখ সেট হওয়ারও তো একটা ব্যাপার থাকে! আমারও এই ভয়টা ছিল… এখনও আছে …

তারপর?

তারপর আমি নিজেই রূপাদিকে ফোন করলাম। কারণ, সি ইজ রূপা গাঙ্গুলি। জিজ্ঞাসা করলাম, রূপাদি, তুমি কি আর একবার ভাববে? উনি জানিয়ে দিলেন যে না…আমাকে লিখলেন, “লাভ ইউ বাবু”। আমিও উত্তর দিলাম, “লাভ ইউ টু”… ব্যস শুরু হল আমার জার্নি।

 

 

প্রথম যেদিন সেটে এলেন, সবার আচরণ কেমন ছিল?

(এক চোট হাসি) আমি সমানে ভেবে চলেছি, আমাকে বুঝি কেউ মানতে পারছে না। ভাবছি ডোডো-মৌ কেউই আমায় ঠিক নিতে পারছে না… ভিতরে শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। দেখছি, স্বীকৃতি দূরে দাঁড়িয়ে… টেনে ওকে নিয়ে আসি… তবে পরে বুঝলাম… এ সব কিচ্ছু না। সবই আমার ভাবনা। এসব কিছুই নয়।

 

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, চিত্রনাট্যে শুধুই নির্যাতন… আপনি সহমত?

কোনও চিত্রনাট্য কি এক কথায় রিগ্রেসিভ হতে পারে?

যদি বীথিকা মিত্রের চরিত্রটার কথাই শুধু বলা যায়? বধূ নির্যাতন করে চলেছেন … রিগ্রেসিভ নন?

রিগ্রেসিভ আমি বলব না। ভীষণ ভাবে কঠিন একজন মানুষ। যার মধ্যে অনেক শেডস আছে। অনেক স্তর আছে। সেটা ভেবে করাটাও কিন্তু খুব চাপের। কেউ কী একটা কথা বলেছেন, সেটার সূত্র টেনে এনে রিগ্রেসিভ বলে কিন্তু লাভ হবে না।

দর্শকেরা অনেকেই বলছেন নতুন বীথিমাসিকে তাঁরা দেখতে চান না, তাঁদের কী বলবেন? 

দেখুন, আমি চেষ্টা করব… আমি চেষ্টা করব আপনাদের ভালবাসা পেতে। যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ভালবাসা দেবেন। একটা কথা বলতে চাই, অনেকের হয়ে… আমাদের যিনি লেখিকা (দেবিকা মুখোপাধ্যায়) তিনি একেবারে যোগ্য এই ভালবাসাটুকু পাওয়ার। এর পরের দায়িত্বটা তো আমাদের। সেই দায়িত্বই বড় কঠিন। দেখা যাক কী হয়।

 

Next Article