স্কুলে পড়তে পড়তেই অভিনয়ে হাতেখড়ি। কেরিয়ারের শুরুতেই মোহনা মাইতি পেয়েছে বড় কাজ। গৌরী এলো প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তার সঙ্গে জায়গা করে নেয় মোহনা। তিনি জিবাংলার নয়া মুখ। সদ্য একাদশ শ্রেণীতে উঠেছে সে। এরই মধ্যে বিয়ে? আদপে কি বিয়ের বয়স হয়েছে তাঁর? এ কী বললেন তাঁর সহঅভিনেতা বিশ্বরূপ। সদ্য দিদি নম্বর ওয়ান সেটে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এসে তাঁর রহস্য ফাঁস করেন বিশ্বরূপ। নিজের কাজ সম্পর্কে শোয়ের সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে গিয়ে গৌরী বলে, তাঁর এখন কাজের চাপ খানিকটা কম। কারণ এখন তাঁর আর বোর্ডের চিন্তাটা নেই।
মোহনাকে থামিয়ে, পাশ থেকে বিশ্বরূপ জানিয়ে দিলেন, মোহনার নাকি বিয়ে। বিষয়টা ঠিক কী, মজার ছলে বিশ্বরূপ জানান, একটা সময় ছিল যখন ছেলেরা একটা নির্দিষ্ট ক্লাস পর্যন্ত পড়লেই তাঁদের দোকান করে দেওয়া হতো, মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো, মোহনাও এখন সেই পর্যায় আছে। পাত্রও নাকি দেখে রেখেছেন তাঁরা। বিষয়টা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে যায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোহনা। অবাক হয়ে যান রচনাও।
প্রসঙ্গত, পিলু ধারাবাহিকে মেঘা দাঁর মতো একইভাবে ডান্স বাংলা ডান্স স্টেজ জন্ম দিয়েছে আরও এক অভিনেত্রীর। মোহনা মাইতি, গৌরী এলো ধারাবাহিকের মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে গৌরীকে দেখা যায় এক অন্যরূপে, শান্ত, স্নিগ্ধ অথচ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা না হওয়া একটি মেয়ে। পর্দার সামনে গৌরীর ছবিটা যখন এমন, ঠিক পর্দার পেছনে থাকা সেই মোহনাই বাস্তবেও ঠিক তেমনই শান্ত! ডান্স বাংলা ডান্স-এর মঞ্চে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় পর্বে মিটেছে তার। দশম শ্রেণির ছাত্রী মোহনা লেখাপড়া করতে করতেই অভিনয়ে পা রেখেছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চলছে অভিনয়ের কাজ। টিআরপি-র তালিকায় মাঝে মধ্যেই প্রথমে উঠে এসে দর্শকদের নজর কাড়ছেন তিনি।