আশ্বিনের আর বেশি দেরি নেই। ভাদ্রের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি খানিক মন ভার করালেও ক্যালেন্ডার জানান দিচ্ছে পুজো তো এসেই গেল প্রায়। পিতৃপক্ষের অবসান হতেও খানিক সময়ই বাকি। চ্যানেলে চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দিনী পালার প্রস্তুতিও শেষ। মহালয়ার ভোরেই কোন চ্যানেলের দুর্গা বেশি ভাল– তা নিয়ে চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এ সবের মধ্যেই জি-বাংলায় যে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে এ বছরেও পাওয়া যাবে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে– সে খবর প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল টিভিনাইন বাংলা। এ তো গেল মহিষাসুরমর্দিনীর কথা। বাদবাকি চরিত্রে অভিনয় করবেন কারা? কেমনই বা দেখতে লাগছে তাঁদের?
ধারাবাহিক শেষ হলেও জি-বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও চুকে যায়নি শ্বেতা ভট্টাচার্যের। এখন তিনি দেবের নায়িকা। তবে তার আগে মহালয়ার সকালে দর্শক তাঁকে পাবেন পার্বতী হিসেবে। গোলাপি পোশাকে বড়ই স্নিগ্ধ শ্বেতা। অন্যদিকে মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা তুলে ধরবেন মা দুর্গার আরও এক রূপ। তাঁকে দর্শক পাবেন দেবী দুর্গা রূপে। জনপ্রিয়তায় এই মুহূর্তে রঞ্জা ওরফে ইধিকা পাল রয়েছেন বেশ উচ্চাসনেই। পিলু ধারাবাহিকের দেখা যায় তাঁকে।
রঞ্জাকে পাওয়া যাবে দেবী চন্ডিকা হিসেবে। তাঁর রুদ্ররূপ আপনার মনে ভয় ধরাতে পারে। ‘লাল কুঠি’ ধারাবাহিক টিআরপির তালিকায় বেশ খানিক পিছিয়ে। তবে ওই ধারাবাহিক লিড চরিত্রে রয়েছেন রুকমা রায়। তিনি কিন্তু দর্শকমহলে বেজায় পরিচিত। তাঁকে দেখা যাবে স্কন্দমাতার চরিত্রে। দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে হাজির হবে ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’-এর হংসিনী ওরফে শারলি মোদক।
এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় মিঠাইকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে গৌরী। মহালয়ার সকালে দেবী গন্ধেশ্বরী রূপে হাজির হবেন তিনিও। সঙ্গে থাকবেন দেবী কুস্মান্ডা রূপে পিলু ওরফে মেঘা দাঁ। দেখা যাবে মহা সরস্বতীর বেশে অন্বেষা হাজরাকেও। প্রতিটি ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্ররা আশ্বিনের সকালে হাজির হবেন আপনার টিভি সেটে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অমোঘ কণ্ঠে মন্ত্রোচ্চারণ শুনে আপনি চোখে রাখতেই পারেন টিভিতে। তবে তাঁর আগে দেখে নিন ওই অনুষ্ঠানে সকলের সাজপোশাক।