
স্নেহা সেনগুপ্ত
তাঁরা বিবাহিত। সিরিয়ালে অভিনয় করতে এসে এ ফ্লোর থেকে ও ফ্লোরে প্রেম হয়। তারপর বিয়ে করেন রাহুল মজুমদার ও প্রীতি বিশ্বাস। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাঁদের ভিন্ন দুটি সিরিয়ালে প্রায় একই ‘মেথড’ অ্যাক্টিং করতে দেখেছেন দর্শক। প্রীতি মৃন্ময়ী চরিত্রে এখনও অভিনয় করছেন ‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকে। অন্যদিকে ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’তে বিহানের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন রাহুল। প্রীতির চরিত্র বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানসিকভাবে অন্যরকম এক মেয়ের। রাহুলের চরিত্রের মা মারা যাওয়ার পর ওষুধ খাইয়ে তাঁকে মানসিকভাবে অন্যরকম করে রাখা হত। দুই অভিনেতাই দাপিয়ে কাজ করেছিলেন স্ক্রিনে। কিন্তু বাড়িতে? কার পারফরম্যান্স ভাল, সেই নিয়ে কি কোনও রেষারেষি ছিল দুই তারকার মধ্যে? TV9 বাংলাকে কী বললেন রাহুল-প্রীতি?
‘ধুলোকণা’ ধারাবাহিকে প্রীতি বিশ্বাস।
প্রীতি বলেছেন:
“আমার কাজটা আগে শুরু হয়েছিল। রাহুলেরটা পরে শুরু হয়। আমাদের চরিত্র দুটি কিন্তু বেশ আলাদা। রাহুলের চরিত্র বিহানের জন্মগত মানসিক সমস্যা ছিল না। ওর মা মারা যাওয়ায় মানসিক ধাক্কা খায়। সেখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয়। আমার চরিত্র মৃন্ময়ী জন্ম থেকেই একটু অন্যরকম। চরিত্রগুলো করার সময় আমরা একে-অপরকে সেই ভাবে সাহায্য করতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনও রেষারেষিও ছিল না। এমনিতে আমি খুব খুঁত ধরি রাহুলের। কিন্তু খুকুমণিতে ও আমাকে কোনও সুযোগই দেয়নি বলার। আমাদের মধ্যে হিংসা নেই। বরং ও অ্যাওয়ার্ড না পেলে আমি যদি পাই, সবার আগে এগিয়ে এসে ও-ই হাততালি দেয়। চিত্রনাট্য পেলে আমরা একে- অপরের সঙ্গে আলোচনাও করি। ফলে এসবই আমাদের সম্পর্কের এবং সংসারের অংশ হয়ে উঠেছে। ‘অভিমান’ সিনেমার মতো আমাদের মধ্যে কিছু নেই।”
‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ ধারাবাহিকে রাহুল মজুমদার।
রাহুল বলেছেন:
“আমাদের চরিত্র দুটি দু’রকমের পাগল। দু’জনেই খুব মন দিয়ে কাজটা করেছি। আমাদের মধ্যে ‘আমায় দেখ, আমায় দেখ’ গোছের রেষারেষি আসেনি। সে জন্যই হয়তো মানসিক শান্তি ছিল। একে-অপরের পাশে থেকে, সাপোর্ট করে কাজটা করেছি।দুটো চরিত্রই সমানভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকে কমেন্ট করেছিল, আমরা স্বামী-স্ত্রী পাগল সেজে স্টারকে (পড়ুন স্টার জলসা) লুটে নিচ্ছি। পাগলা-পাগলি বলেও আমাদের ডেকেছেন অনেকে। বলেছেন, দুই পাগল। এখনও বলছেন। শপিং মলে গেলে এখনও আমাদের সকলে বলে – ‘এই তোমরা পাগলা-পাগলির চরিত্রে অভিনয় করতে না।'” আমাকে বলতে হয়েছে, আমরা সত্যি জীবনে এরকম নই। আমাদের মধ্যে রেষারেষি নেই ঠিকই, কিন্তু একে-অপরের খুব সমালোচনা করি আমরা। এবার আমাদের টেলি অ্যাকাডেমিতে প্রীতি টেলি অ্যাকাডেমি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওকে বলেছেন, ‘আর একটা যে পাগল করে ওটা তোর বর তো?’ আমাকে তিনি বলেছেন, ‘তোকে পরের বছর দেব’…