
শ্বেতা ভট্টাচার্য, টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। টেলিভিশন থেকে শুরু করে সিনে দুনিয়া, একের পর এক ভাল কাজ করে চলেছেন তিনি। পর্দায় তিনি বেশ পরিণত। তাঁর প্রতিটা চরিত্রই দর্শক মনে জায়গা করে নেয়। তিনি যেই ধারাবাহিকে থাকেন তবে টিআরপি-র তালিকায় সেই ধারাবাহিক যে বেশ পাকা জায়গা করে নেবে, তা অনুমান করে নিতে খুব একটা অসুবিধে হয় না।অন্যদিকে বড়পর্দায়ের প্রথম কাজ অভিনেতা দেবের বিপরীতে। সবমিলিয়ে অভিনয় জগতে শ্বেতার পায়ের তলার মাটি এখন বেশ শক্ত। আর ব্যক্তিজীবন? কতটা গোছানো সেখানে শ্বেতা? তাঁর বিশেষ বন্ধু অভিনেতা রুবেল দাসের কথায়, ”অভিনয় জগতে পরিণত এই মেয়েটি ব্যক্তি জীবনে বেশ ছেলেমানুষ।”
অভিনেতা রুবেল ও শ্বেতার সম্পর্কের খুনসুটি তাই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে নেট দুনিয়ায়। জীবনের বিশেষ বন্ধু রুবেল সম্পর্কে TV9 বাংলাকে শ্বেতা জানিয়েন, ”আমার দামি উপহার পছন্দ হয় না। ও আমায় একটা গোলাপ দিলেও আমি সেটা রেখেদি বইয়ের পাতায়।” এতটাই মিষ্টি সম্পর্ক তাঁদের। আর সেই বিশেষ মানুষের যখন জন্মদিন আসে তখন কি আর বিশেষ আয়োজন না করে থাকা যায়? যায় না, বলেই মধ্যরাতেই ঘর সাজিয়ে কেক কেটে শ্বেতার জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন রুবেল। এরপর দিনভর চলল খাওয়া-দাওয়া ঘুরতে যাওয়া সবই ছিল তালিকা।
সোশ্যাল মিডিয়া সেই সকল ছবি পোস্ট করে সকলের নজর কাড়লেন শ্বেতা। জন্মদিনের মিষ্টি পোস্ট দেখামাত্রই সকলেই অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়ে গেলেন নেট পাড়ায়। শ্বেতা বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত, ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে কাজ করছেন না তিনি। তবে রুবেল দাস ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিক নিয়ে। তারই মাঝে একটা ছুটির দিন শ্বেতার সঙ্গে কাটিয়ে নিলেন তিনি। তাঁদের দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তোলা একাধিক ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল এদিন শ্বেতার ঘর। সে ছবিও ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন শ্বেতা।
রাত ১২টা থেকে কী কী করলেন শ্বেতা
”রাত ১২টায় শুটিং থেকে ফিরেছে রুবেল। তখন এসেই গোটা ঘর সাজিয়েছে আমার জন্য। কেক এনেছে আমার জন্য। মাও একটা কেক এনেছিল আমার জন্য। আমি সেই দুটো কেকই মধ্যরাতে কাটি। ও আমায় একটা খুব সুন্দর পোশাক দিয়েছে। আমার মা বাবাও এমায় একটা পোশাক দিয়েছে। তবে রুবেলের উপহারের তালিকায় ছিল অনেককিছু। একটা ম্যাকের সেট উপহার দিয়েছে, একটি হাতঘড়ি দিয়েছে, এগুলো আমার খুব পছন্দের। উপহার পেতে কার না ভাল লাগে বলুন। তবে দামি উপহারের থেকে ছোট ছোট উপহার আমার বেশি ভাল লাগে। আমি যখন রুবেলকে কিছু দিয়ে থাকি, একটা ভাল কিছু, বাকি সব ছোট ছোট উপহার। এত ব্যস্ততার মধ্যে, এতকিছু মধ্যে যে রুবেল আমার জন্য এতটা করবে, এটাতেই আমি খুব খুশি। জন্মদিনের আগেরদিন থেকে বাবার জ্বর, জন্মদিনের পরের দিন থেকে মায়ের জ্বর। কী যে যাচ্ছে…। বাবাকে মনটা খারাপ ছিল। আমি বারবার রুবেলকে বলছিলাম, এসবের দরকার নেই। তবে একমাত্র রুবেলই পারে, রুবেলই জানে মন খারাপের মধ্যেই কীকরে আমায় ভাল রাখতে হয়। ও এসে সবটা পাল্টে দিল। কিছুক্ষণ পর আমার মনে হল, হম, আমি খুব ভাল আছি। জীবনসঙ্গী এমনই হওয়া উচিত। খারাপ সময় পাশে থেকে সময়টাকেই ভাল করে দিতে পারে রুবেল। আমার মা-বাবাও অনেক করেন, করেছেন, আমায় কি সুন্দর একটা গলার সেট উপহার দিয়েছেন। সব মিলিয়ে নিজেকে খুব বিশেষ মনে হচ্ছিল বিশ্বাস করো।”
যদিও জন্মদিনের রাত পোহাতেই বিপত্তি। মন খারাপ শ্বেতার। তিনি জানালেন, তাঁর মায়ের ভীষণ জ্বর। শরীর ভাল নেই। শনিবার হবে ডেঙ্গু টেস্ট। সব মিলিয়ে বেশ চিন্তায় কাচ্ছে অভিনেত্রীর সময়।