সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেত্রী। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়া এই সেলেব একটা সময় অভিনয় জগতে পা রাখতে কঠিন লড়াই করেছিলেন। প্রতিটা পদে পদে তাঁকে ভেবে চিন্তে পা ফেলতে হয়েছে। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মরিয়া ছিলেন তিনি। ছোট থেকেই সাক্ষী থেকেছেন তাঁর বাবার কঠোর পরিশ্রমের। অভিনেত্রীর কথায় তাঁর বাবা সবটা উজার করে দিয়েছিলেন, তাঁর ও তাঁর দাদাকে প্রতিষ্ঠিত করতে। দিদি নম্বর এয়ানের মঞ্চে এসে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে হাতে সবটা সামলাতে চেয়েছিলেন, তখন সবে মাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা হয়েছে। জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলা থেকে তাঁর ডাক আসে।
বিন্দু বলে একটি চরিচ্র করতেন তিনি। দিনের পর দিন শুটিং করচতে আসতেন একটাই পোশাক পরে। মেট্রোতে যাতায়াত করতেন। এভাবেই কেরিয়ার শুরু হয় সুদীপ্তার। তারপর থেকে বহু ধারাবাহিকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পিছন ফিরে চাইলে আজও সুদীপ্তার মনে পড়ে যায় তাঁর কঠিন লড়াইয়ের কথা। যা কোনও দিনও ভুলবেন না তিনি। শোয়ের সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেদিন অবাক হয়ে শুনেছিলেন।
সেই সেলেবই এবার বিয়ের পিঁড়িতে। তৃণমূল যুবনেতা সৌম্য বক্সীর গলাতেই গতকাল অর্থাৎ সোমবার মালা দিয়েছেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনি বিয়েটা শুরুতেই সেরে নিয়েছিলেন সৌম্য ও সুদীপ্তা। সামাজিক বিয়ে শুরু হয় খানিক রাতেই। ১১টায় ছিল লগ্ন। তার আগেই অবশ্য হাজির হয়েও গিয়েছিলেন সকলেই। সিনেপাড়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল, এদিন নবদম্পতীকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কম বেশি সকলেই। মুহূর্তে ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোলাপী বেনারসীতে নজর কাড়লেন অভিনেত্রী। হাজির ছিলেন ‘সোহাগ জল’ টিমের প্রায় সকলেই। ঝিলিক ওরফে শ্রীতমা ভট্টাচার্যকে হাজির ছিলেন। প্রেমিক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে হাজির ছিলেন শ্রুতি দাসও।