পরনে কালো স্লিভলেস ফিউশন পোশাক। সিঁথি ঢেকেছে টিকলিতে। দুই ভ্রুর মাঝখানে জ্বলজ্বল করছে ছোট্ট আকারের টিপ। মিষ্টি হাসি। অনেকটা রোগা হয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁকে তাঁর ছোটবেলার সঙ্গে ঠিক মেলানো হয় না। তিনি আভিকা গোর। আভিকাকে সারা দেশ চেনে ‘বালিকা বধূ’ নামে। কিংবা চেনে বালিকা বধূ ‘আনন্দি’ নামে। যে হিন্দি ভাষায় সম্প্রচারিত ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিকে ‘মা সা’র চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ বাহবা পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রি। মা সা না থাকলে আনন্দির চরিত্রটাকে সাজানো যেত না। এমনটা মনে করেন অনেকেই। একদিকে রক্ষণশীল রাজস্থানি পরিবারে মা সার শাসন, অন্যদিকে বালিকা বধূ আনন্দির লেখাপড়ায় দারুণ মন। আনন্দি, থুড়ি অভিনেত্রী আভিকা গোরকে চেনা যেত তাঁর ইউনি ব্রোয়ের কারণে। ঠিক যেমনটা কাজলকে চেনা যায়। তাঁদের দু’জনের মুখের এটাই একমাত্র মিল। তাঁদের দু’জনেরই যে আছে ইউনি ব্রো। জোড়া ভ্রু। কিন্তু একী! আভিকার সাম্প্রতিকতম ফটোশুটে সেই জোড়া ভ্রু তো আর নেই…!
নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন আভিকা। আইব্রো প্লাক করে ছেটে ফেলেছেন নিজের ইউনিব্রো। তাতে তাঁকে খারাপ দেখতে লাগছে না মন্দ, সেই বিতর্কে না যাওয়াই ভাল। তবে মানিয়েছে বেশ। হতেই পারে অভিনেত্রী এই ইউনিব্রোয়ে বোর হয়ে গিয়েছিলেন। তাই একঘেয়েমি কাটাতে লুকে একটু পরিবর্তন এনেছেন।
অনেকেই মনে করেন ইউনিব্রো চেহারায় আলাদা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। তাই অনেকেই একটিকে বৈশিষ্ট হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। কেউ আবার মনে করেন এ এক বালাই, একে ছেটে ফেলতে পারলেই মঙ্গল। আভিকা কেন ইউনিব্রো রাখলেন না, সেই উত্তর তিনিই দিতে পারেন যদিও।
কেবল ‘বালিকা বধূ’ নয়, ‘সসুরাল সিমর কা’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন আভিকা। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল রোলি। তেলুগু ছবিতে অভিনয় করেছেন।