Tiyasha Roy: ‘হুটহাট রেগে যাই না আর, চার বছরে অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছি আমি’
চার বছর ধরে চলা ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি' শেষ হয়েছে সম্প্রতি। কেমন করে দিন কাটছে ধারাবাহিকের মূখ্য চরিত্র তিয়াসা রায়ের? টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুললেন তিনি...
১৩ নম্বর স্টুডিয়োতে যাওয়ার তাড়া নেই আর। অ্যালার্ম লাগিয়ে শোয়ার অভ্যেসেও এবার বদল আনা যায়। গত রাতে ফোন চার্জ দিতে গিয়েও দিইনি। কী হবে দিয়ে? পরের দিন তো আর কল টাইম নেই। কোথাও বের হওয়ারও নেই। কৃষ্ণকলি শেষ। ১৯ বছরের আমি এখন ২৩। চার বছরের একটা জার্নি। কোথা থেকে যে কেটে গেল সময় গুলো। টিভিনাইন বাংলার জন্য লিখতে বসে কেবল ফ্ল্যাশব্যাকে ভেসে আছে হাজারও স্মৃতি।
শেষ দিন যখন বের হয়ে আসি সবাইকে ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, এই চার বছরে আমার মধ্যে কী কী বদল দেখতে পেলে? আমায় যদি প্রশ্ন করেন, আমি বলব অনেক। চলতে চলতে অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছি। অনেক ম্যাচিওর হয়েছি। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি। কখন কী বলা উচিত। কখন কী করা উচিত। এখনও মনে আছে কৃষ্ণকলি যখন শুরু হয় ছোটখাটো কথাতেই হুটহাট কেমন যেন রেগে যেতাম। রিঅ্যাক্ট করে ফেলতাম। এখন আর তিয়াসা কিন্তু এমনটা করে না। আগে ঘুম থেকে উঠতেও কী কষ্ট হতো আমার। এখন আর হয় না। নিজে নিজেই উঠে যেতাম কৃষ্ণকলির শেষের দিনগুলোতে, কাউকে ডাকতে হতো না। সব থেকে বড় কথা আমাকে দেখতে পর্যন্ত আলাদা হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকের ছবিগুলোতে একদম সেই ইনোসেন্ট একটা মেয়ে, এখন একটু আলাদা তো হয়েইছে।
একটা কথা শেয়ার করতে ইচ্ছে হল… ১৩ নম্বর স্টুডিয়োতে যেদিন শেষ শুট হল বেরিয়ে আসার সময় নিজের জিনিসগুলো বের করছিলাম। আমার একটা বালিশ সাড়ে তিন বছর ধরে মেকআপ রুমে রাখা ছিল। ঘুম পেলে ওটায় মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়তাম এতদিন। সব জিনিসের সঙ্গে ওটাকেও নিয়ে এলাম। ওর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। যখন গাড়িতে জিনিসগুলো তুলছিলাম কান্না পাচ্ছিল। অভ্যেস বদলালে খারাপ লাগে, আমারও লাগছে। একটা চরিত্রের মৃত্যু হল তো। প্রথম ধারাবাহিক, এত ভালবাসা… সবার সঙ্গে হয়তো আবারও দেখা হবে, কিন্তু রোজ দেখা তো আর হবে না।
যাই হোক আপাতত এক মাস একটু নিজেকে সময় দেব, নিজের কথা ভাবব, কাজের অফার রয়েছে। কাজেও ফিরব খুব তাড়াতাড়ি। শ্যামা রয়ে যাবে… আপানাদের ভালবাসায় থেকে যাবে তিয়াসাও।
View this post on Instagram