ডাক্তারি কলেজের পড়ুয়া নায়ক-নায়িকা। তাদের খুনসুটি দিয়ে শুরু হয়েছিল সিরিয়ালের গল্প। তারপর জানা গেল, নায়িকাকে ছোটবেলা থেকেই মন দিয়ে বসেছিল নায়ক। নায়ককেও ভালবাসত নায়িকা। তারপর নায়িকার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা কিডনি পাচারের অভিযোগ আনল নায়কের পরিবার। বাবাকে বাঁচাতে নায়ককে বিয়ে করে নায়িকা। উদ্দেশ্য একটাই – নায়কের বাড়িতে থেকে বাবার নিরপরাধী হওয়ার প্রমাণ জোগাড় করা। এর জন্য মিথ্যা গয়না চুরির অভিযোগও নিজের কাঁধে নিয়ে ফেলে নায়িকা। এবং সে কিছুতেই সত্যিটা স্বীকার করে না। নিজের বাড়ির বিরুদ্ধে গিয়ে এতদিন নায়িকাকে সমর্থন করে আসা নায়কের মন ভাঙে। সেই সঙ্গে সে সিদ্ধান্ত নেয় নায়িকাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। এখন দেখার সেই ডিভোর্স হয় কি না।
সিরিয়ালের নাম ‘এক্কা দোক্কা’। নায়ক পোখরাজ এবং নায়িকা রাধিকা। যে দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোনামণি সাহা। ডিভোর্সের কাগজে সই করানোর জন্য রাধিকার বাড়িতে চলে আসে পোখরাজ এবং তাঁর পরিবার। ছলছল চোখে সেই ডিভোর্সের কাগজ নিতে হাত বাড়িয়ে দেয় রাধিকা। তারপরের ঘটনাটাই সাসপেন্স।
টিআরপির তালিকায় ৫ থেকে ৬.৭-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে এই সিরিয়ালের স্কোর। শহুরে দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় মজুমদার এবং সেনগুপ্ত পরিবারের গল্প। অনেকটা রোমিও-জুলিয়েটের গন্ধ পাওয়া যায়। ডাক্তারি কলেজের পড়ুয়াকে নিয়ে গল্প বলে অনেকে সপ্তপদীর স্বাদও পান তাতে। কেননা, সিরিয়ালের গল্পে আছে ভরপুর খুনসুটি। এখন নায়ক-নায়িকার ডিভোর্স নিয়ে চলছে কাঁটাছেঁড়া। এরপর কী-কী হতে পারে? ছলছল চোখে ডিভোর্সের পেপার্সে সই করে দিতে পারে রাধিকা! তার বাবা ডঃ কুশল মজুমদার (অভিনেতা চন্দন সেন) নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারে? গয়না চুরির মিথ্যা অভিযোগে ফেঁসে রাধিকার জেল হতে পারে? কী হবে কী না হবে, তা আছে কেবল লেখিকার (লীনা গঙ্গোপাধ্যায়) কমলে… একমাত্র তিনিই জানেন চরিত্র এবং ঘটনার গতিবিধি!