২৫ বছরের টেলিভিশন-অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটা খুন—একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। একদিকে যখন পল্লবীর মৃত্যুরহস্য ঘনীভূত হচ্ছে, অন্যদিকে দর্শকমনে প্রশ্ন, ধারাবাহিক ‘মন মানে না’র ভবিষ্যৎ কী? তবে কি পল্লবীর বদলে নতুন কোনও মুখ আসতে চলেছে পর্দায়?
না, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের বক্তব্য, “না, নতুন কাউকে আনার পরিকল্পনা নেই। কারণ এই ধারাবাহিকটি প্রায় শেষের পথেই ছিল। পল্লবী যতটা শুট করে গিয়েছে, তাতে এই বুধবার পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং আছে। আর তারপর গল্পকে একটু অন্যরকমভাবে সাজানো হয়েছে।”
চ্যানেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, “এই শুক্রবার অর্থাৎ ২০ মে ‘মন মানে না’র শেষ দিনের শুটিং। এই ধারাবাহিকের জায়গায় আসছে নতুন সিরিয়াল। যে ধারাবাহিকের (তুমি যে আমার মা) প্রোমো ইতিমধ্যেই দর্শকরা দেখে ফেলেছেন।” প্রসঙ্গত প্রায় এক বছর ধরে দেখানো হচ্ছে ‘মন মানে না’ ধারাবাহিক।
পল্লবীর মৃত্যু কেন হল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে এলেও অভিনেত্রীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিকের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে অভিনেত্রীর পরিবার। সাগ্নিকই পল্লবীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।
রবিবার দুপুরে গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রী পল্লবীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্য়ু ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তাঁর প্রেমিক সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পল্লবী হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে কাউকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাগ্নিকের উপস্থিতিতে কী ভাবে পল্লবী এই কাজ করলেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।