প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহের রবিবার বাবাদের দিন। পালিত হয় ‘ফাদার ডে’। বাবার সঙ্গে ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক কেমন এই প্রশ্ন করা হলে একেক জন এক এক রকম উত্তর দেবেন। মেয়েদের সঙ্গে বাবা সম্পর্ক খুব বেশি হয়। এমনটাই বলা হয়ে থাকে। আর ছেলেরা হয় মায়ের কাছের। তবে উল্টোটা হওয়াও কোনও বড় ব্যাপার নয়। অনেক ছেলের আদর্শই হন তাঁর বাবা। আসল বক্তব্য বাবার সঙ্গে টক-মিষ্টি সম্পর্ক হয় সন্তানের। ছোটবেলায় মেয়েরা বাবার পরী, বড় হলে সেই মেয়েই হয়ে যান আবার বাবার মা। আমজনতা হোক বা সেলিব্রিটি, সকলের মধ্যেই এমন নানা স্মৃতি থাকে বাবার সঙ্গে।
বেশ কয়েক বছর ধরে সিঙ্গল মাদারের মতো সিঙ্গল ফাদারদেরও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বলিউডে তুষার কাপুর স্যারোগেসির মাধ্যমে সিঙ্গল ফাদার হন। তাঁর দেখাদেখি পরবর্তী কালে তাঁর দিদি একতা কাপুরও একই উপায়ে সিঙ্গল মাদার হন। করণ জহোরও একই পথে হেঁটে এখন দুই সন্তানে হ্যাপি সিঙ্গল ফাদার। সদ্য যীশু সেনগুপ্ত এমনই একটি বিষয়ের উপর ছবির করলেন ‘বাবা ও বেবি’ নামে। কিন্তু সিনেমা বা সেলিব্রিটিরা যা করতে পারেন আমজনতাও বিশেষ করে সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে এটা কি সম্ভব? বিয়ের পর কোনও পুরুষের স্ত্রী বিয়োগ হলেই শুরু বিয়ে দেওয়া কথা। যদি সন্তান থাকে, তার দ্বিতীয় মা আনতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন পরিবারের লোকজন।
সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের মানসিকতাও। ফাদার ডে-র দিন দেবশংকর হালদার এই নিয়েই একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করছেন। যেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সিঙ্গল ফাদার হওয়াটা কতটা কঠিন কাজ। ‘আপনি কী বলেন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন থাকছে। উত্তর দেবেন সাধারণ মানুষ। স্টার জলসায় ফাদার ডে উপলক্ষে বিশেষ এই অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা হবে এমন কিছু সিঙ্গল ফাদারদের, যাঁরা একা হাতেই সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন। যদিও কেউ কেউ আজও মনে করেন বিয়েই হচ্ছে সন্তান বড় করার জন্য একমাত্র সমাধান। আবার কেউ নিজে হাতে সন্তানকে বড় করতেই স্বাচ্ছ্ন্দ্যবোধ করেছেন। রবিবার ২টো ৩০ মিনিটে দেবশংকর দর্শকদের সামনে তুলে আনবেন সেই সব পিতাকে যাঁরা সন্তানকে বড় করেছেন একা হাতে। অনুষ্ঠানে উঠে আসবে সিঙ্গল ফাদার হওয়া কঠিন না সহজ- সেই বিষযটিও।