KBC 13: চেয়েছিলেন ক্রিকেটার হতে, হয়েছেন শিক্ষক, যুবকের মনের ইচ্ছে পূর্ণ করলেন অমিতাভ
শো' চলাকালীনই প্রাংশুকে রীতিমতো সারপ্রাইজ দিয়ে রোহিতকে ফোন কল করেন অমিতাভ। প্রতিযোগীর তখন চোখে জল, কথা বন্ধ।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল… সে পারেনি। ঠিক তেমনই প্রাংশু ত্রিপাঠি হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। হয়েছেন শিক্ষক। তবু ক্রিকেট তাঁকে ছেড়ে যায়নি। রয়ে গেছে মনের মধ্যে। রোহিত শর্মাকে ভগবানের থেকে কম কিছু মনে করেন না তিনি। কেবিসি’র মঞ্চে যুবকের বহুদিনের মনের ইচ্ছে পূরণ করলেন অমিতাভ বচ্চন।
শো’ চলাকালীনই প্রাংশুকে রীতিমতো সারপ্রাইজ দিয়ে রোহিতকে ফোন কল করেন অমিতাভ। প্রতিযোগীর তখন চোখে জল, কথা বন্ধ। কথা বলতে গিয়েও কেঁপে যায় বার কয়েক, কাঁপা কণ্ঠেই সে বলে ওঠে, “কী করে কথা বলব! ভগবানের সঙ্গে কি কথা বলা যায় নাকি!’। বিহ্বল হয়ে পড়েন অমিতাভ-রোহিতও।
যদিও এর কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে সামলে নিয়ে বিগ-বি’র সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠে ওই যুবক। এমনকি বিগ-বি যে স্যুট পরে শুট করছিলেন তা নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি। আড্ডার পরিবেশ গড়ে ওঠে গোটা সেট জুড়েই।
View this post on Instagram
এ বারের কেবিসি গত বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে লাইভ অডিয়েন্সের সেগমেন্টটির পরিবর্তে আনা হয়েছিল ভিডিয়ো এ ফ্রেন্ড। করোনা পরিস্থিতিতে সবটাই ভার্চুয়াল। কেবিসির ঘরেও সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে আবারও লাইভ অডিয়েন্সের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, এ বারে গেম টাইমারেরও এক নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধুক ধুকি জি’। সেটও সাজানো হয়েছে এলইডি দিয়ে। ভার্চুয়াল সিলিং আর গেমপ্লে গ্রাফিক্স তাতে যোগ করেছে অন্য মাত্রা।
গত বছর অডিয়েন্স যখন ছিলেন না লাইভে মন খারাপ হয়েছিল স্বয়ং অমিতাভেরও। সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “প্রথম বার স্টুডিয়োতে দর্শক নেই। লাইফলাইনের অপশনেরও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।” তবে এ বারে তিনি খুশি। আবারও সেই চেনা আমেজ আর চেনা মেজাজে শাহেনশাহ। মনের আনন্দ ব্যক্ত করে দিন কয়েক আগেই অমিতাভ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছবি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “ফিরলাম… ২০০০ সাল থেকে ওই চেয়ারটায় বসছি আমি। ২১ বছর কেটে গেল। জীবনভরের অভিজ্ঞতা। শো থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার এই লুকটাও।” কেবিসি’র এই সিজনে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সোম থেকে শুক্রবার রাত ৯টায় সোনি টিভিতে দেখা যায় কেবিসি।