AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার মৃতদেহ রাখা ছিল যেখানে, সেই জায়গাটাই বারবার শুঁকছে বোজ়ো-তোজো

Aindrila Sharma Pets: ঐন্দ্রিলার শোকে ছটফট করে অনেক আগে থেকেই খাওয়াদাওয়া ভুলে গিয়েছিল বোজ়ো। অফ-হোয়াইট রঙের পাগ সে।

Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার মৃতদেহ রাখা ছিল যেখানে, সেই জায়গাটাই বারবার শুঁকছে বোজ়ো-তোজো
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2022 | 2:29 PM
Share

বাড়িটা নিঝুম। লোকজন আসছেন। দেখা করে চলে যাচ্ছেন। বাবা-মায়ের মন খুব খারাপ। সাংঘাতিক ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। দিদির গলাটা ধরা-ধরা সারাক্ষণ। বোঝাই যাচ্ছে, চোখের জল বাঁধ মানছে না এক মুহূর্তের জন্যেও। বলছেন, “আমরা আছি একরকম।” মৃত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার বাড়ির পরিবেশ এখন এমনটাই। ২০ নভেম্বর ২০ দিনের লড়াই থামিয়ে চিরনিদ্রার পৃথিবীতে চলে গিয়েছেন বাংলা সিরিয়ালের উজ্জ্বল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা।

ঐন্দ্রিলার একান্ত আপনজনের তালিকায় যেমন আছেন তাঁর দিদি ঐশ্বর্য, বাবা-মা, প্রেমিক সব্যসাচী, ঠিক তেমনই আছে আরও দু’টি প্রাণী বোজ়ো এবং তোজো। TV9 বাংলা সোমবার ঐন্দ্রিলার দুই পোষ্য বোজ়ো এবং তোজোর খোঁজ দিয়েছিল। ঐন্দ্রিলার দুই পোষ্য পাগ প্রজাতির সারমেয়। সোমবার ঐন্দ্রিলার বান্ধবী পারমিতা সেনগুপ্ত TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন, ঐন্দ্রিলার শোকে ছটফট করে অনেক আগে থেকেই খাওয়াদাওয়া ভুলে গিয়েছিল বোজ়ো। অফ-হোয়াইট রঙের পাগ সে। কৃষ্ণবর্ণের তোজোর চেয়ে খানিক বড়। সে ছিল ঐন্দ্রিলার বড় ন্যাওটা। সে দিন রাতে ঐন্দ্রিলার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল পারমিতার। কেমন দেখা গেল বোজ়ো-তোজোকে?

মঙ্গলবার অভিনেত্রীর দিদি ঐশ্বর্য TV9 বাংলাকে বোজ়ো-তোজোর ব্যাপারে জানিয়েছেন বেশ কিছু কথা। তিনি বলেছেন, “বোজ়ো-তোজো খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছে একেবারে। ওরা এখনও বোধহয় বুঝতে পারছে না যে, বোন (ঐন্দ্রিলা শর্মা) আর নেই। ওরা খালি ভাবছে, এই বুঝি আসবে বোন… এই বুঝি। কলিং বেলের আওয়াজ পেলেই বারবার ছুটে চলে যাচ্ছে দরজার দিকে।” রবিবার নবান্ন সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার মৃতদেহ যখন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর বাড়িতে, ওরা নীচে গিয়ে দেখে এসেছিল। অভিনেত্রীর দিদি ঐশ্বর্যর কথায়, “গতকাল (সোমবার) আমরা বুঝতে পারিনি, দরজার ফাঁক দিয়ে কখন চলে গিয়েছে নীচে। তারপর বোনকে যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে শুঁকছিল জায়গাটা। ওরা বারবারই ভাবছে এই বুঝি বুনু চলে আসবে। এখনও মাঝেমধ্যেই ওই জায়গাটা গিয়ে শুঁকছে।”

সোমবার, ২১ নভেম্বর রাতে নিজের ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার পাল্টে ফেলেছিলেন ঐশ্বর্য। রেখেছিলেন তাঁর ও ঐন্দ্রিলার ছোটবেলার একটি মিষ্টি ছবি। তাতে ক্যাপশন, “আমার ছোট্ট বুনু… এই ভাবেই সারাজীবন দু’জন দু’জনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম, আছি এবং থাকব…।”