সিরিয়ালে নায়ক-নায়িকার বিয়ে খুব একটা স্বাভাবিকভাবে কখনওই হয় না। হলেও সেটা বেশ ব্যতিক্রম। কখনও সিঁদুর উড়ে এসে রাঙিয়ে দেয় নায়িকার সিঁথি, কখনও পাত্রী বদলে যায়… সেই একই ছকে চলছে বাংলা সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’। সিরিয়ালে নায়কের বিয়ে। নায়কের ঠাকুমার সেই পাত্রীকে পছন্দ নয়। তার পছন্দ নায়িকাকেই। কীভাবে নায়ক-নায়িকার বিয়ে সম্পন্ন হবে, তার জন্য নায়িকাকে শরবতে অচৈতন্য হওয়ার ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। নায়িকা হুঁশ হারিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছাদনাতলায়। কেন না সজ্ঞানে কখনওই সে বিয়েতে রাজি হবে না।
এমনই প্রোমো তৈরি হয়েছে ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকের। বিয়েটা আদৌ হয় কি না, তা অবশ্য় সিরিয়াল এপিসোড দেখলেই বোঝা যাবে। তবে এ প্রশ্ন উঠতেই পারে অচৈতন্য করে বিয়ে দেওয়ার রীতি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য! কেননা, ভারতীয় সংবিধান বলে এই ধরনের বিয়ের কোনও মান্যতা নেই। তা হলে কীভাবে সিরিয়াল এমনটা দেখানো হচ্ছে? এই নিয়ে ধারাবাহিকের প্রযোজক এবং লেখক সুশান্ত দাসকে প্রশ্ন করে TV9 বাংলা।
সুশান্ত বলেছেন, “কোন ভাবে বিয়ে মান্যতা পাবে, সেটা আমরা জানি। ফলে প্রোমো দেখে কিছুই বলা যাবে না। এর জন্য এপিসোডটা দেখতে হবে। প্রোমোতে তো বিয়েটা হচ্ছে না, তাই না? এটুকু বলতে বলতে পারি, লজিকের বাইরে কিছুই হচ্ছে না।”
‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকটি চিআরপি তালিকায় ভাল জায়গায় রয়েছে। সাতের উপরে স্কোর। তালিকার চার কী পাঁচ নম্বরে থাকে সব সময়। ‘কৃষ্ণকলি’ সিরিয়ালে অভিনয় করার পর এই ধারাবাহিকেও জুটি হিসেবে দেখা যাচ্ছে নীল ভট্টাচার্য এবং তিয়াসা লেপচাকে। তাঁরাই নায়ক-নায়িকা। নায়িকা একটি গ্রামের শিক্ষিতা মেয়ের। বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছে সে। এবং সে বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছে বলে শহুরে পাত্র তাকে বিয়ে করতে ‘না’ বলেছে। এ দিকে তার চাকরি হয়েছে একটি শহুরে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে। সেই স্কুলের কর্তৃপক্ষের অন্যতম নীলের চরিত্রটি। তাদের বিয়ে আদৌ হয় কি না সেটাই এখন দেখার।