
টলিউডের জনপ্রিয় খলনায়িকা মিশমি দাস। একটু ছকভাঙা। একটু সাহসী। বিকিনিতে ছবি এর আগেও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক বিকিনি পরিহিত ছবির জন্য এমনভাবে কটাক্ষ শুনতে হবে তা হয়তো নিজেও ভাবেননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা। ‘তালপাতার সেপাই’ থেকে শুরু করে ‘কঙ্কাল’– কিছুই বাদ গেল না, নেটিজেন থামালেন না ট্রোলিং। গোয়ার বিচে কালো বিকিনি পরে ছবি দিয়েছিলেন মিশমি। তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে। সাদা বালিতে প্রতিফলিত হচ্ছে সূর্যের বাসন্তী আভা। হাওয়া এসে আছড়ে পড়ছে মিশমির চুলে। এমনই এক এক ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন,”স্বর্গ বোধহয় এমনটাই হয়।” পাল্টা মন্তব্য এল। “কোমরের হাড় বেরিয়ে গিয়েছে। কিছু খা রে।” একজন লিখলেন, “পুষ্টির অভাব।” তবে অনেকেই মিশমিকে নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে মিশমি অপুষ্টিতে ভুগছন। একজন লেখেন, “পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করা উচিৎ।বডি শেমিং করা উচিৎ ন, কিন্তু এরকম ফিগারকে ‘মাই বডি মাই চয়েজ’ বলে চালানো যায় না।”
সদ্য প্রেম ভেঙেছে মিশমির। এ নিয়ে মাস দু’য়েক আগে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন দু’জনের অ্যাডজাস্টমেন্ট না হওয়াতেই এ হেন সিদ্ধান্ত। জানিয়েছিলেন আপাতত কাজেই ফোকাস তাঁর।
পরপর বেশ কিছু ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তা নিয়েও বেশ ক্লান্ত তিনি। তবে কাজের দিক থেকে মোটেও আপস করতে রাজি নন। আশা রাখছেন, আগামী ধারাবাহিকে আবারও ইতিবাচক চরিত্রে ফিরে আসবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় হাতেখড়ি হয় মিশমি দাসের। সেই ধারাবাহিক বেশ হিট হয়েছিল। এর পর বিভিন্ন সময়ে নানা চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর মধ্যে রয়েছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর মতো ধারাবাহিকও। যেখানে তাঁর অভিনীত রিনি চরিত্রটি বেশ সাফল্য লাভ করেছিল একটা সময়।