বড়সড়ো বিপদের মুখে মিঠাই। জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিককে এখন টানটান উত্তেজনার পর্ব। সবে মাত্র হালুমের কষ্ট ভুলে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে মিঠাই। এমনই পরিস্থিতিতে বারে বারে তাকে ভাবাচ্ছে ঠিক কে বা কারা হালুমের মা-বাবার সঙ্গে এমন জঘন্য কাজটি করেছে। ক্যান্সারের নিরাময়ের জন্য করতে থাকা রিসার্চের ফর্মুলা নিয়ে কিডন্যাপ করতে চাওয়া ব্যক্তিটি কে? আদিত্য আগারওয়াল? প্রশ্নের মুখোমুখি মিঠাই। মোদক পরিবারে এদিন করবা চৌথ পালনের মহাউৎসব। সকলেই সময় মতো তৈরি হয়েও গিয়েছে। মিঠাই নিজের শাড়ি হাতে নিয়ে ফিরছিল তাড়াতাড়ি বাড়িতে। মাঝ রাস্তাতেই দেখা হয়ে যায় আদিত্য আগরওয়াল-এর সঙ্গে। ঠিক সেই সময়ই মিঠাই মনে মনে স্থির করছিলেন, কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে আদিত্য জড়িয়ে নয় তো!
মুহূর্তে চোখের সামনে আদিত্যকে দেখে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মিঠাই ভাবে সে হয়তো ভুল বুঝছে। কারণ আদিত্য পিঙ্কিজি-র নাম তুলে জানান যে তড়িঘড়ি মিঠাইকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানায় অতীতে যা ঘটেছে ঘটেছে তার জন্য তাকে বাড়ি ছাড়তে পারবে না এই অবিশ্বাস করাটা তার কাছে খুব খারাপ লাগার বিষয়। স্বভাববশত না চেয়েও মিঠাই কিছুটা বিশ্বাস করতে শুরু করে আদিত্যকে। তবে স্বভাব যাবে কোথায়। মুহূর্তে আদিত্য তুলে নিয়ে যায় মিঠাইকে। অন্যদিকে বাড়িতে সকলেই অপেক্ষা করছিল এদিন কখন মিঠাই আসবে এবং সকলে মিলে করবা চৌথ এর উপোস ভাঙবে।
খুব দেরি হওয়ার পর সিদ্ধার্ত নিজেই স্থির করে যে এবার মিঠাইকে আনতে যাওয়া উচিত। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মিঠাইয়ের শাড়ি ও ফোন পড়ে রয়েছে সেখানে। মনে সন্দেহ জাগে, এমন সময় সামনে এসে উপস্থিত হয় হালুম ও হালুমের মা। তারা জানায় মিঠাই আদিত্য আগরওয়াল বলে কারুর খোঁজ করছিলেন। সিদ্ধার্থর কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে নিশ্চিত মিঠাইয়ের কোনও বড় বিপদ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রুদ্র। কীভাবে মিঠাইকে উদ্ধার করবে সিদ্ধার্থ? আদিত্য আগরওয়ালের এই চালে কী মিঠাই এর কোন বড় ক্ষতি হয়ে যাবে উঠছে প্রশ্ন।